প্রকাশ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৬
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় পারিবারিক কলহের কারণে শ্বশুরের গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূ ফাতেমা বেগমের (৩০) বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে সিংড়া ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে এবং পুলিশ রাতেই ফাতেমা বেগমকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
ঘটনার পর গুরুতর আহত শ্বশুর শাহ জামাল প্রামাণিক (৬৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তাঁর গোপনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে কাটা হয়েছে, যার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং তাকে আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
ফাতেমা বেগম জানান, ১৫ বছর আগে তাঁর শ্বশুরের বড় ছেলে মনির প্রামাণিকের সাথে বিয়ে হয়। কিছুদিন পর শ্বশুরবাড়ি পরিবর্তন এবং তার স্বামী ঋণের কারণে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। দুই মাস আগে বাড়ি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করার পর শ্বশুর ফাতেমাকে ও তার সন্তানদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন।
তবে, শ্বশুরের সঙ্গে ফাতেমার সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে এবং গত কয়েকদিনে তা আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার রাতে যখন বাড়িতে কেউ ছিল না, শ্বশুর শাহ জামাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং একপর্যায়ে তাকে শোবার ঘরে নিয়ে অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করেন। তখনই ফাতেমা তার কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে শ্বশুরের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন।
পরে, শাহ জামালের চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জানান, পুরুষাঙ্গের গোড়ায় প্রায় ৪ সেন্টিমিটার অংশ কাটা গেছে এবং রক্তক্ষরণ অনেক বেশি ছিল।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাতেমা বেগম ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকেই এর নিন্দা জানিয়েছেন। তবে, পারিবারিক কলহের এই অমানবিক পরিণতি সমাজে গভীর সংকটের সূচনা করেছে।