প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২২
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য জড়িত থাকা তিন এসএসসি পরীক্ষার্থী মুচলেকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ক্ষমা পেয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছিল খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, যেখানে তিন শিক্ষার্থী তাদের জুনিয়র দুই ছাত্রীকে বিপদে ফেলতে চেষ্টা করে।
নাচনাপাড়া এলাকার মো. শামীম হোসেনের ছেলে মো. সায়েদ, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সিয়াম এবং লালুয়া ইউনিয়নের চিংগড়িয়া গ্রামের মো. সোহাগ তালুকদারের ছেলে মো. সিহাব—এই তিনজনই খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সম্প্রতি, স্কুল ক্যাম্পাসে এবং এর বাইরে, এই তিন শিক্ষার্থী কৌশলে দুটি ভিডিও ধারণ করে তা ফেইসবুকে শেয়ার করেন, যা চরমভাবে স্কুল এবং ছাত্রীদের অভিভাবকদের জন্য অস্বস্তির সৃষ্টি করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে এবং তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। তদন্তে উঠে আসে, এই তিন শিক্ষার্থী ঘটনার সাথে জড়িত।
স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা করেছিল, যার মধ্যে ছিল তাদের ভর্তি বাতিল এবং ট্রান্সফার সনদ (টিসি) দেওয়া। তবে, শিক্ষার্থীরা তাদের ভুল স্বীকার করে এবং পৃথকভাবে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তারা আবেদন করে, যাতে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
বৃহস্পতিবার, তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে পৃথকভাবে মুচলেকা দেওয়ার পর তারা ক্ষমা পায়। খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম বলেন, "শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা প্রথমবারের মতো ক্ষমা পেয়েছে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।"
এ ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈতিক শিক্ষা এবং ছাত্রদের আচরণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা আরও একবার উঠে এসেছে।