প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান নুর হোসেন ওরফে মাটি মাসুদকে বিরুদ্ধে এক প্রবাসীর তিনতলা ভবন দখল করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরাম অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভবনটির মালিক প্রবাসীর স্ত্রী কাজল রেখা এই অভিযোগ করেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, তার স্বামীর প্রবাস থেকে পাঠানো টাকা ও সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ১৯৯৪ সালে ১৩ শতক জমির ওপর তিনতলা ভবন তৈরি করেন চৌমুহনী পৌরসভায়। ২০০৭ সালে তার ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পর বাড়ির দেখভালের জন্য এক কেয়ারটেকার নিয়োগ দেন। তবে ২০০৯ সালের পর থেকে ওই কেয়ারটেকার বাড়ির ভাড়া আদায় করা বন্ধ করে দেয় এবং আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বাড়িটি দখল করে নেয়। পরে মাটি মাসুদ ও তার সহযোগী সাহাবুদ্দিন ওই বাড়ির নিচতলা এবং দ্বিতীয়তলায় বসবাস শুরু করেন।
কাজল রেখা আরও জানান, বাড়ি দখল হওয়ার পর তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দেওয়া হয় এবং ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার মালিকানার বাড়ির মূল্য ৩৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে ৬ লাখ টাকা দিয়ে বাড়ির নাম পরিবর্তন করা হয়। হুমকি-ধমকি এবং আতঙ্কে তিনি এক পর্যায়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান এবং নোয়াখালীতে আর আসতে পারেননি।
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে মাটি মাসুদ এলাকা থেকে পালিয়ে গেলে তিনি বাড়ির দলিল, হোল্ডিং, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। তবে তৃতীয়তলা এবং নিচতলা উদ্ধার হলেও দোতলা এখনও উদ্ধার করতে পারেননি।
ভুক্তভোগী কাজল রেখা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে নোয়াখালী যুবলীগের আহ্বায়ক নুর হোসেন ওরফে মাটি মাসুদকে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়, এবং স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পর মাটি মাসুদ এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।