প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ৩:২৬
সরকার পরিবর্তনের পর ঠাকুরগাঁও জেলা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ২ নং চাড়োল ইউনিয়নে মধুপুর গ্রামে ওয়ারীতে সাফ কবলা জমি বিক্রি করে আবার সেটি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এতে করে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে একই গ্রামের সফির উদ্দিন নামে এক কৃষক।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ২৮ বছর আগে, ইউপি সদস্য হারুনুর অর রশিদ এর ভাইয়ের কাছে ও তার পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে ওই জমি তিন নামে কবলা দলিল মূলে ক্রয় করেন সমিল উদ্দিন।
২৮ বছর ভোগ দেখলে থাকার পর ০৬/ ০৮/ ২০২৪ ইং তারিখে মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৬ ঘটিকায় বিবাদীরা সঙ্ঘবদ্ধ একটি দল ১৫-১৬ জন লোক লাঠি সোটা দেশি অস্ত্র নিয়ে জমি দখল করে আম গাছ রোপন করে। সমিরুদ্দিনের পরিবারসহ বাধা দিতে গেলে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্য হারুনের লোকজন ভয়ভীতি সহপ্রান নাশের হুমকি দেয় ।
এক পর্যায়ে দুই পক্ষে হাতাহাতি হলে সমীর উদ্দিনের গায়ে আঘাত লাগে। উপায় না পেয়ে জমি ফেরত পেতে থানায় অভিযোগ করেন।
সমির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদের ভাই ও তার পরিবারের লোকজন আমার জমি জোরপূর্বক দখল করেছে।
তফসিল বর্ণিত জমি, ঠাকুরগাঁও জেলা, বালিয়াডাঙ্গী থানা, ২ নং চাড়োল ইউনিয়ন, মৌজা -মধুপুর, জেএল নং -২৭, খতিয়ান নং ৭১,দাগ নং ২৫৪৪-২২ শতাংশ, ও ২৫৪৩, দুই শতাংশ বিবাদীরা মোট ২৪ শতাংশ জমি তে আমগাছ রোপন করে জবরদখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
যারা দখল করেছেন তারা হলেন , জয়নুল হক,হায়দার আলী, রমজান আলী, রেজাউল করিম, ফজলে আলম, ফজলুল করিম, সবুজ আলী, বজলুর রহমান ও ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ নিজেই তার নেতৃত্বে এই জমি দখল করেছে সঙ্গবদ্ধ দল।
জমি দখলের বিষয়ে ইউপি সদস্য হারানোর রশিদ এর পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে কাউকে না পেয়ে।
মুঠো ফোনে হারুনুর রশিদ বলেন বিষয়টি দুই পক্ষের শনিবারে থানায় বসার কথা আছে। উভয় পক্ষের কাগজ নিয়ে সেদিন বসা হবে। ওয়ারিশ সূত্রে যদি আমরা জমি না পাই তাহলে ছেড়ে দেব তবে সেটা কাগজ দেকার পর এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
বালিয়াডাঙ্গী থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন দুই পক্ষে উনারা বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমিও তদন্তে গিয়েছিলাম দুই পক্ষে বসে সিদ্ধান্ত নেবে উভয় পক্ষের কাগজ দেখার মাধ্যমে,তবে আপস হওয়া ভালো।