প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ২:৩৫
কোটা সংস্কার আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা আদালত ও পুলিশের কথা না মানলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্ষমতা প্রয়োগ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে আদালত মানবে না, পুলিশের কথা মানবে না, তাহলে আমাদের করার কি আছে? আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে ক্ষমতা আমরা সেটাই করবো।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনরতরা যদি জানমালের ক্ষতি করে, সড়ক অবরোধ করে এবং মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে যৌক্তিক কাজ সেটাই করা হবে।
হারুন অর রশীদ বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সুপ্রিম কোর্ট সবার ভরসাস্থল। আদালতের নির্দেশনা সবার মেনে চলা উচিত। কেউ একমত না হলে আপিল করতে পারবেন। তবে ক্লাসে ফেরার পরিবর্তে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করছে, জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এবং কিছু এলাকায় যানবাহন ভাঙচুর করছে। এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ যদি হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনে আন্দোলনের নামে সড়কে নেমে অবরোধ করে গাড়িতে হামলা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, তবে আমরা ধরে নিতে পারি অনুপ্রবেশকারীরাই এসব কাজ করছে।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে কেউ দেশের শান্ত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ছাত্রলীগ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেছেন, যারা শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে ভর করে ষড়যন্ত্র করে এ দেশের অগ্রযাত্রাকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, সেই ধরনের লোকদের এ আন্দোলনে সম্পৃক্ততা আমাদের উদ্বিগ্ন করে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে কেউ দেশের শান্ত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে সরকারি চাকরিতে ‘কোটা’ ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
কোটা সংস্কার ও কোটা ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে এক উদ্যোগের কথাও জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা নিয়ে কী ভাবছেন, তারা কী চাইছেন সেটি জানতে ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন শুরু করবে তারা।
ছাত্রলীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ক্যাম্পেইন তারুণ্যের মাঝে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নীতি প্রণয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতাধর্মী সমাজ প্রতিষ্ঠা, গঠনমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পলিসি অ্যাডভোকেসির অভিজ্ঞতা, সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া, আলোচনা, মতামত গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান পরিস্থিতির একটি গ্রহণযোগ্য সুরাহা, যৌক্তিক সমাধান, জনদুর্ভোগ এড়ানো এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ছাত্রলীগ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।