প্রকাশ: ৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২:৫৯
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন (৭ জানুয়ারি) সারাদেশে ‘গণকারফিউ’ ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর। একই সঙ্গে ৬ জানুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে।
আজ শুক্রবার পল্টনের আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক সমাবেশ থেকে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নির্বাচন বর্জন ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। সমাবেশ শুরুর আগে সমাবেশস্থলের মাইক নিয়ে যায় পুলিশ।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘ভারতীয় মদদে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে আফ্রিকা অঞ্চলের মতো ব্যর্থ অকার্যকর রাষ্ট্র পরিণত করার জন্য আওয়ামী লুটেরারা আগামী ৭ই জানুয়ারি ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করছে। দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী জনগণ এই ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন বর্জন করেছে, কোন বিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। কেউ ৭ তারিখ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।
৭ তারিখে একতরফা নির্বাচনের গিয়ে মোদির দালালি করবেন না। ৭ তারিখ আমরা জনগণকে বলবো, স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণকারফিউ পালন করুন, ঘর থেকে কেউ বের হবেন না। আগামীকালের হরতালেও আপনাদের নৈতিক সমর্থন চাই।’
নুর বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ সঞ্চয় ভেঙে বাড়তি খরচ মেটাচ্ছে, অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে আর সরকারি দলের লোকেরা উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে।
১৫ বছরে দেশের ১৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। লাঙ্গল, নৌকা, ট্রাক, ঈগল সবই শেখ হাসিনা মার্কা। কাজেই স্থানীয় সম্পর্ক।’
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।