প্রকাশ: ৬ নভেম্বর ২০২৩, ৩:৪৫
জোটগত না হলেও বিএনপির পিছু পিছু হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী। এ হাঁটা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। তবে তা প্রকাশ্যে আসে অবরোধের সময়। বিএনপি ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডাকলে একই দিন সমাবেশ ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। পরে দেখা যায় একই সভা ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামীও। যদিও আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী সভা করতে পারলেও সভা পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির।
এরপরই প্রকাশ হয়ে যায় জামায়াতের হাঁটার গতিপথ। বিএনপি এদিন হরতালের ডাক দিলে জামায়াতে ইসলামীও ডাকে হরতাল। পরে অবরোধের ডাক দিলে জামায়াতে ইসলামীও ডাক দেয় অবরোধের।
৪৮ ঘণ্টা অবরোধ শেষে ফের বিএনপি ডাকে অবরোধ। এদিন জামায়াতে ইসলামীও অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে মিলিয়ে।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে এ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সরকারের অপশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে চলছে অবিচার-অনাচার। দুর্নীতি ও লুটপাট চলছে অবাধে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। বিরোধীদলের লোকদের ওপর যখন-তখন হামলা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গণগ্রেপ্তার করে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করা হয়েছে। ঘরবাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে অনেককে পথের ভিখারি বানানো হয়েছে। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জালিম সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি এবং ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে আগামী ৮ নভেম্বর বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ১০ নভেম্বর শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে টানা ৪৮ ঘণ্টা রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের তৃতীয় দফা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করে আন্দোলনকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি ও জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।