প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২২, ১:৫৭
মিজান মেলকারকে (৪৮) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাই ৯৯৯ কল দিয়ে সহায়তা চেয়েছেন তার স্ত্রী মুন্নি বেগম। রাতেই আপন বড় ভাই মালেক মেলকারের বাড়ির কাছ থেকে তাকে বস্তাবন্দী অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করেন হিজলা থানার এস আই বেলাল হোসেন। উদ্ধারের পরে তাকে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাটি বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের লেমুয়া এলাকায় ঘটেছে । মিজান মেলকার ও মালেক মেলকার উক্ত এলাকার খালেক মেলকারের সন্তান। তবে এ ঘটনায় কাউকেই আটক করেনি পুলিশ।
ঘটনার ব্যাপারে মিজান মেলকারের স্ত্রী মুন্নি বেগম জানান, লেমুয়া এলাকা থেকে একটু দূরে ভাড়া বাসায় তারা থাকেন। তাদের মিম নামে তিন বছরের একটি মেয়ে ও আবদুল্লাহ নামে আট মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার ৩০ আগস্ট রাত দশটার দিকে তার স্বামীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় নাঈম এবং সাকিল।
অনেক রাত হয়ে গেলে স্বামী বাসায় ফিরে না আসলে তিনি ৯৯৯ কল দিয়ে সহায়তা চেয়েছেন।
জাহাঙ্গীর নামে ব্যক্তি জানান, হিজলা থানার এস আই বেলাল তাকে নিয়ে ঘটনার স্থানে যান এবং বস্তাবন্দী অবস্থায় মিজান মেলকারকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের ভিডিও তার কাছে আছে কিন্তু আর কাউকে দেবনা। কারণ সারারাত কষ্ট করেছি একটি টাকাও পাইনি।
মিজান মেলকারের ঘটনার বিষয়ে জানান, গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে তার জ্ঞান হারিয়ে যায়, এরপরের ঘটনা তার মনে নেই। তবে তিনি বলেন ঘটনাটির মীমাংসা হয়ে গেছে।
বস্তাবন্দীর ঘটনায় কেউ আটক না হলেও বুধবার ৩১ আগস্ট দুপুরে থানার গোলঘরে দুই ভাই পিতার সম্পত্তি ভাগাভাগি করে সমঝোতায় পৌছান। এসময় এস আই সুমন ও অপারেটর আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত মালেক মেলকার জানান, তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে। আগামী মঙ্গলবার বিশ শতাংশ জমির মধ্যে সতের শতাংশ মিজানকে লিখে দেয়া হবে। এর বেশি তিনি কিছু বলবেন না।
উক্ত ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে এস আই বেলাল জানান, তিনি কিছু বলবেন না। ঘটনার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ভালো জানেন। তাদের কাছ থেকে জেনে নিন।