
কোরবানি না দিলেও বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে মাংস

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২২, ২:০

কোরবানির পশুর গোশত ধনী গরীব ছোট বড় স্থায়ী আস্থায়ী এলাকার ভাড়াটিয়া সহ নিম্ন আয়ের সকল মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে অন্যরকম এক ব্যবস্থা চলে আসছে টাঙ্গাইল সদরের ধুলেরচড় মার্দাসা পাড়ায়। এই এলাকায় সমাজ হীতৈষী পরিষদের উদ্যোগে কোরবানির পশুর মাংস এক জায়গায় জড়ো করে, এলাকার যারা কোরবানি দেয়নি তাদের সকলের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হয়। এই এলাকার সকলে এক জায়গায় মিলে কোরবানি দেয় তারপর তারা মাংসের তিনভাগের একভাগ এখানে দিয়ে যান। যারা কোরবানি বাড়িতে দিয়ে থাকেন তারাও মাংসের তিনভাগের একভাগ এখানে দিয়ে যান।
ঈদের দিন দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিষদের সদস্যদের ব্যবস্থাপনায় মাংস সংগ্রহ কড়া হচ্ছে তাদের নির্দিষ্ট জায়গায়। এলাকার ভাড়াটিয়া সহ সকলের নামের তালিকা করা হচ্ছে।

একই এলাকার বাসিন্দা রতন বলেন, আমরা পাচঁজনে ভাগে কোরবানি দিয়েছি মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ প্রায় ৩৭ কেজি মাংস দিয়েছি সমাজ পরিষদে। তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে এখানে মাংস দিই। যারা কোরবানি দিতে পারে না কিংবা কারও কাছে যেতে পারে না, এখান থেকে তাদের বাড়িতে মাংস পৌঁছে দেওয়া হয়। ঈদের আনন্দ যেন সবাই উপভোগ করতে পারে, সে লক্ষ্যেই এই প্রক্রিয়া চলে আসছে বলে জানান তিনি। এখানে মাংস দিলে সবাই পায়। আমিও আবার একভাগ পাব।
এলাকার ভারাটিয়া বাজারের সবজি দোকানি হারিছ ইসলাম বলেন, আমি প্রায় তিন বছর যাবত এই এলাকায় ভাড়া থাকি, বাড়িতে যাওয়া হয়না বর্তমানে দোকানদারি করে কোনও রকমে চলছি। তখন থেকেই প্রতি কোরবানির ঈদে ক্লাবের কমিটির লোকজন আমাকে মাংস দিয়ে আসছে। এতে অন্যদের সঙ্গে আমরাও ঈদ আনন্দে শামিল হতে পারি।

পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল সিদ্দিকি বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এলাকার মানুষদের তালিকা তৈরি করা হয়। ক্লাবের সদস্য ও সমাজের মুরুব্বিরা এসে সেই মাংস যারা উপস্থিত থাকে তালিকা অনুযায়ী তাদের হাতে দিয়ে দেন। যারা অনুপস্থিত থাকেন তাদের বাড়িতে স্বেচ্ছাসেবকরা মাংস পৌঁছে দেন।
তিনি আরও জানান, এই বছর এখানে প্রায় ২৫ জন কোরবানি দিয়েছেন। তাদের পাঠানো মাংসের পরিমাণ প্রায় ১৪০০ কেজি। এবার ২৩০ পরিবারের মাঝে মাংস বিতরন করা হয়েছে ছয় কেজি করে।

সমাজ হিতৈষী পরিষদের ব্যবস্থাপনায় থাকা পিনু বলেন, এই এলাকার পরিষদের সদস্য ছাড়াও আশেপাশের এলাকার গরিব দুস্থ অসহায় ৮০ পরিবারের মাঝে দের কেজি করে মাংস বিতরন করা হয়েছে।
এই এলাকার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল খান বলেন, এই এলাকার আরও কয়েকটি স্থানে এভাবে কোরবানির মাংস বণ্টন হয়ে আসছে। বেশ ক’বছর ধরে চলে আসছে এই রিতী। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এতে ধনী-গরিব সবাই ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছেন।


সর্বশেষ সংবাদ
