প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১:১২
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দুই ভাই হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসষ্ট্যান্ডে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষুদ্ধরা। পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ এসে বুঝিয়ে বিক্ষুদ্ধদের নিবারণ করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। আরাধন ও সুর্জয়ের বাড়ি গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ড ক্ষুদিরাম সরকার পাড়ার লক্ষ্মন বিশ্বাসের ছোট ছেলে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারী) বিকেল চারটার দিকে দুই ভাই হারা পরিবারসহ এলাকাবাসী সুর্জয় ও বিজয় দুই ভাই হত্যার বিচারের দাবীতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাজার বাসষ্ট্যান্ডে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী বিচারের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ৩০ মিনিট পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ বিক্ষুদ্ধদের বুঝিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। এসময় এসআই দেওয়ান শামীম প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, গত বছর ৯ ডিসেম্বর অটোরিক্সা নিয়ে সুৃর্জয় বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সবাই খোঁজ করতে থাকে। পরদিন দুপুরে পাশের মাধবদিয়া ইউপির একটি আম বাগান থেকে লাশ উদ্ধারের খবর পান। পরিবারের লোকজন ফরিদপুর গিয়ে নিখোঁজ সুর্জয়ের লাশ শনাক্ত করে। পুলিশের ধারণা, সুর্জয়কে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সাটি ছিনতাই করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া তিন বছর আগে বিজয় ওরফে আরাধনকে এলাকায় ক্রিকেট খেলা কেন্দ্র করে সঙ্গীদের সাথে ঝগড়া লাগে। এসময় দুই কিশোর ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা হত্যা করে। এখন পর্যন্ত ওই হত্যার বিচার হয়নি। তিন বছর পর বেঁচে থাকা একমাত্র সুর্জয় বিশ্বাসকেও খুন করলো সন্ত্রাসীরা। সুর্জয় কিছুদিন কাঠ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো।
এসময় উপস্থিত গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই দেওয়ান শামীম বলেন, সুজয় হত্যার বিষয়ে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। কোতয়ালী থানা পুলিশকে অনুরোধ জানাবো এজাহারভুক্ত আসামীদের যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এছাড়া বিজয় হত্যার ব্যাপারে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।