প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১, ২৩:৪৪
গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে ১৩ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ বিক্রির জন্য বরিশাল নগরীতে মাইকিং করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য বাজারে মাছটি কেটে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিশালাকার ওই মাছটি বরিশালের পোর্ট রোড আড়ত থেকে কিনেছেন মোঃ রুবেল নামে একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। তিনি মাছটি পোর্ট রোড থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেন। ব্যবসায়ী রুবেল জানান, সোমবার (৩০ আগস্ট) মাঝরাতে খবর পেলাম তালতলীতে বেদে সম্প্রদায়ের এক লোকের জালে বড় একটি মাছ ধরা পড়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি বিশাল শাপলা পাতা মাছ। দরদাম করে কিনে নিয়ে এসেছি। মাছ বিক্রি করে তাকে টাকা পরিশোধ করবো।
মৎস্য ব্যবসায়ী রুবেল আরো জানান, আনুমানিক ১৩/১৪ মন অর্থাৎ ৫২২ কেজির মত হবে মাছটির ওজন। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্যই মাইকিং করা হয়। করোনার কারণে লকডাউন, মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা বিভিন্ন কারনে বিগত দুই বছর ধরে মাছ ব্যবসা ভালো চলছিল না উল্লেখ করে রুবেল বলেন, শাপলা পাতা মাছটি যদি বিক্রি করতে পারি তাহলে সেই ক্ষতি কিছু পুষিয়ে উঠতে পারবো। তাছাড়া বেদে জেলেরও ভাগ্য খুলে গেছে। যদিও বেদে জেলের নাম জানেন না বলে দাবী করেছেন তিনি।
বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার এসোসিয়েশনের সদস্য জহির সিকদার জানান, মঙ্গলবার সকালে পোর্ট রোডে নিলামে সর্বোচ্চ ২৭০ টাকা কেজি দরে ১৩ মণ ওজনের মাছ নিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মাইিকং করা হয় পুরো নগরীতে। ৫২২ কেজি ওজনের শাপলাপাতা মাছ নিয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, আঞ্চলিকভাবে শাপলা পাতা মাছ বলা হলেও এটি হচ্ছে স্ট্রিং-রে প্রজাতির মাছ। বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরাইমব্রিকাটা। ইংরেজি নাম (খবড়ঢ়ধৎফ ঝঃরহমৎধু)। এই প্রজাতির মাছ অগভীর সমুদ্রে বেশি পাওয়া যায় এবং খেতে অনেক সুস্বাদু। আগে সচারচার পাওয়া গেলেও বর্তমানে দুর্লভ হয়ে উঠছে এ মাছ।