প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২১, ০:৩১
পটুয়াখালীর বাউফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের (ডিজিএম) বিরুদ্ধে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্রাহক এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। তার এমন আচরণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করলেও চাকুরীর ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।
এছাড়াও গ্রাহক এবং বাউফলে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথেও ভাল আচরণ করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট মুত্রে জানা গেছে, বাউফলে তার অধীনস্থ ১১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। যোগদানের পর থেকেই নানা অজুহাতে ডিজিএম কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচরণ করে আসছেন।
একারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর এই অসন্তোষের জেরে দাপ্তরিক কাজকর্ম এবং মাঠের কাজে মনোবল হারিয়ে ফেলছেন অনেকেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, ডিজিএম আমাদের সাথে অশোভন আচরণ করছেন। অনেকের সাথেই তুই-তামারি ব্যবহারসহ গালমন্দ করছেন। সহকর্মী হিসেবে তার কাছ থেকে নূন্যতম সম্মানটুকু পাওয়া যাচ্ছেনা।
তার আচরণের কারণে সহকর্মীদের কর্ম তৎপরতা এবং মনোবল ভেঙ্গে যাচ্ছে। তবে চাকুরী চলে যাওয়ার ভয়ে কেউই মুখ খুলতে এবং নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না।
অপরদিকে বহু গ্রাহক অভিযোগ করেন, ডিজিএম’র টেবিলে কোন সমস্যা নিয়ে গেলে সে নিজেই কথা বলতে থাকেন। আমাদের কথা এক লাইন বললেই সে একশো কথা বলে কাগজপত্র ছুঁড়ে ফেলে দেন। টেবিলে টেবিলে কাগজ নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে।
বাউফলের বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে শত শত গ্রাহক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরণের বিরুপ মন্তব্য করলেও এবিষয়ে ডিজিএম কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না। ডিজিএম তার পূর্বের কর্মস্থলেও (মুন্সিগঞ্জ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে এমন অসদাচরণ করে এসেছেন বলে একাটি সূত্র জানিয়েছেন।
বাউফলে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথেও ভাল আচরণ করছেন না ওই কর্মকর্তা। বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বাউফল উপজেলা শাখার সভাপতি অতুল চন্দ্র পাল (ভোরের কাগজ) শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে বার বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানতে চাইলে কি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ থাকছে না তার উত্তর না দিয়ে “যতদিন বিদ্যুতের তার আছে তত দিন সমস্যা হবে” বলে উত্তর দেন।
সংবাদকর্মী মো. মাইনুদ্দিন জিপু তার ফেসবুক আইডিতে বলেন, “ ডিজিএম বাউফলে যোগদান করার পর থেকেই বিদ্যুৎ আসে যায়”। এই ডিজিএমকে পরিবর্তনের দাবিও জানান তিনি। এরকম অনেক সংবাদকর্মীই ওই ডিজিএম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজিএম সোহরাব হোসেন বলেন, সকল অভিযোগই ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। আমরা এগুলো কখনোই করি না। মাঠ পর্যায়ে কাজ তদারকি করেন কিনা জানতে চাইলে ডিজিএম বলেন, মাঠ পর্যায়ের কাজ সাধারনত এজিএমরাই করেন।
তিনি আরো বলেন, মাঝে মধ্যে মনিটরিং করতে যাই। আমার বয়স একটু বেশি হওয়ায় এবং করোনার কারণে এখন একটু কম বের হই। তবে আমরা আমাদের সাধ্য মতো গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
বিষয়টি পটুয়াখালী জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শাহ রাজ্জাকুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন,‘ এমন অসদাচরণ করার কথা না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।