প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২১, ৩:৯
বাউফলের মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদী বেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন সারে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হলো। জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি সাবেক চীফ হুইপ স্থানীয় এমপি আ.স.ম. ফিরোজ আজ বুধবার বেলা ১১ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই আলোকবর্তিকার উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” বাউফলে এই প্রতিপাদ্যের একটি শুভ বাস্তবায়ন হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্বত্র শতভাগ বিদ্যুতায়ণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। মুজিব বর্ষের মধ্যেই দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া সরকারের লক্ষ্য।
এজন্য দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু করেছেন। পদ্মা সেতু এবং লেবুখালী চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবন মান পাল্টে যাবে। দেশের অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে। তিনি বলেন, মহামারি করোনার মধ্যেও দেশের আর্থিক অবস্থা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভাল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই দেশ আজ ভালভাবে চলছে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম শাহ মো. রাজ্জাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান, বাউফল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বশার তালুকদার,
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল মামুন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম মিয়া প্রমূখ।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের শত শত নারী-পুরুষ আনন্দে আত্মহারা। তারা জানান, আমাদের কাছে বিদ্যুৎ স্বপ্ন ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার এবং আমাদের অভিভাবক আ.স.ম ফিরোজ এমিপর অক্লান্তিক প্রচেষ্টায় আজ আমরা বিদ্যুৎ পেলাম। আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে শেখ হাসিনা এবং আ.স.ম. ফিরোজের জন্য দোয়া করছি।
উল্লেখ্য, বাউফলের মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ১১টি চর নিয়ে ২০১৩ সালে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন গঠন করা হয়। এরপর ওই ইউনিয়নকে বিদ্যুতের আওতায় আনার জন্য ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে তেঁতুলিয়া নদীর তলদেশ দিয়ে ০.৮৪ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুতের গ্রীড লাইন টেনে চন্দ্রদ্বীপে ১০২ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপণ করা হয় ।
২০২০ সালে কাজটি শুরু করে চলতি বছরের মে মাসে কাজটি শেষ হয়। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য ১৫৭ টি ট্রান্সমিটার স্থাপণ করা হয়েছে।
এই বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ২ হাজার ৫০০ পরিবার বিদ্যুতের আওতায় এলো।