নওগাঁয় নিয়ামতপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে খালিদ বীন মাহবুব রহমান (৪৯) নামে এক ব্যক্তির জরিমানা করা হয়েছে। তিনি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে গত একমাস থেকে এলাকায় চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
রোববার (৯ মে) বিকেলে উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের কুশমইল বেলীর মোড়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নীলুফা সরকার। এসময় তার ৪০ হাজার টাকা জরিমানাসহ আরো এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। খালিদ বীন মাহবুব রহমান নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে বেলী মোড়ের কামরুজ্জামানের বাসার নীচতলায় ভাড়া নিয়ে খালিদ বীন মাহবুব রহমান নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চেম্বার করে প্রায় এক মাস থেকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। সেখানে নিজেকে এমবিবিএস, পিজিটি, (আপার), এমডি মেডিসিন) ঢাকা, চিকিৎসক মেডিসিন ও ডায়াবেটিকস সহ বিভিন্ন টাইটেল লিখে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ভ‚য়া চিকিৎসক সেজে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো। গোপন সংবাদে ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে তিনি নিজেকে এমবিবিএস ডিগ্রীধারী চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু আদালতের কাছে ডিগ্রী অর্জনের কোন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি। এছাড়াও সাইবোর্ডে ব্যবহৃত ডিগ্রীর কাগজপত্রও দেখাতে ব্যর্থ হয়। তার জাতীয় পরিচয় পত্রটিও দেখাতে পারেনি। এতে তিনি ভূয়া চিকিৎসক হিসেবে প্রমানিত হয়।
এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিলুফা সরকার বলেন, খালিদ বিন মাহবুবুর রহমান ঔষুধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিটিভ হিসাবে কাজ করতেন। সে অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেকে চিকিৎসক হিসাবে প্রচার করেন এবং ভুয়া চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন।
ঔষুধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিটিভ হিসেবে কাজ করার কারনে বিভিন্ন রোগের ঔষুধ এর বিষয়ে ধারণা ছিল। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মানুষ এমন প্রতারণা দিয়ে যাচ্ছিল।
বিষয়টি জানার পর ভ্রাম্যমান আদালতে সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার ৪০ হাজার টাকা জরিমানাসহ এক মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ প্রণব কুমার সাহা। #
নিময়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) হুমায়ন কবির জানান, অভিযুক্ত ভূয়া চিকিৎসক খালিদ বীন মাহবুব রহমানকে রবিবার সন্ধ্যায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।