কঠোর লকডাউনে সচল থাকবে হিলি স্থলবন্দর

সারাদেশে করোনার সংক্রমণ লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি ভাবে আগামীকাল ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সাতদিনের লকডাউন এর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু লকডাউনেও চালু থাকবে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।

অন্যান্য দিনের মতোই চলবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি ও ছাড়করণ কাজ। ফলে বন্দরে পেঁয়াজ, চাল, গম, ভূট্টা, পাথরসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি অব্যাহত থাকবে। বন্দর থেকে পণ্য ট্রাকে বোঝাই করে দেশের অভ্যন্তরে পৌছাতেও সরকারের কোন বাধা-নিষেধ নেই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, আগামীকাল থেকে পবিত্র মাহে রমজান মাস শুরু। দেশের বাজারে খাদ্যদ্রব্য পণ্যের ঘাটতি না হয় এবং সরকারি বিধি নিষেধ না থাকায়, শতভাগ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করে, বন্দরের আমদানি রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। 

বন্দরের বে-সরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা হিলি পোর্ট কর্তৃপক্ষ বলেন, লকডাউন চলাকালে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার কোন সরকারি নির্দেশনা না আসায় বন্দরের আমদানি-রফতানি, বিভিন্ন পণ্য ট্রাকে উঠা-নামার কাজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।

হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমসের ডিপুটি কমিশনার সাইদুল আলম জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের আমদানিকৃত পণ্য ছাড়করণ কাজ চালু থাকবে। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পন্য দ্রুত ছাড়করণ করা হবে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর- এ আলম বলেন, সরকারি নির্দেশনায় যেহেতু স্বাস্থ্য বিধি মেনে বন্দর এর কার্যক্রম চালু রাখার কথা বলা হয়েছে সেহেতু হিলি বন্দরের আমদানি রফতানি সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। তবে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত এর বিষয়টি স্হানীয় উপজেলা প্রশাসন তদারকি করবো। এদিকে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের এক নির্দেশনায় জরুরি পরিসেবা হিসেবে দেশের সকল বন্দরগুলোকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। ফলে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায় কোন বাধা-নিষেধ নেই।