বান্দরবানে নারী পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
বান্দরবানে নারী পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বান্দরবানে রুম্পা দাশ নামে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে তার নিজ বাসার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুম্পা দাশ বান্দরবান সদর থানায় কর্মরত ছিলেন এবং তার স্বামী সৌরভ দাশও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কনস্টেবল পদে কর্মরত।  


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান জেলা সদরের বনরুপাপাড়া এলাকায় স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন রুম্পা দাশ। রোববার রাতের খাবার শেষে তিনি পাশের কক্ষে ঘুমাতে যান, অন্য কক্ষে দুই সন্তানসহ ঘুমিয়ে ছিলেন তার স্বামী। সকালে স্বামী ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় সেটি ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।  


নিহত রুম্পা দাশের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর এলাকায়। পরিবার ও সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। তবে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ এখনো নিশ্চিত নয়।  


বান্দরবান সদর থানার ওসি মো. মাসুদ পারভেজ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।  


এদিকে, স্থানীয়দের দাবি, দাম্পত্য কলহ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। অর্থনৈতিক ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা প্রায়ই শোনা যেত। পারিবারিক অশান্তির কারণেই হয়তো তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে অনেকের ধারণা।  


এ ঘটনা নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই বলছেন, পারিবারিক সমস্যার পাশাপাশি পেশাগত চাপও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া জরুরি বলে মত প্রকাশ করেছেন তারা।  


এদিকে, পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় অন্য কোনো রহস্য আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।  


নারী পুলিশ সদস্যের এমন মৃত্যু ঘিরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। আত্মহত্যার কারণ যাই হোক, পারিবারিক ও কর্মস্থলের চাপ মোকাবিলায় আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।