পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর যুবদলের তিন নেতাকে দলীয় নৈতিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছে পটুয়াখালী জেলা যুবদল। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জেলা যুবদলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে দপ্তর সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আল-নোমানের স্বাক্ষরে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
বহিষ্কৃত তিন নেতা হলেন—কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য ইউসুফ ঘরামী, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সোহেল মিয়াজী এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিরাজ হাওলাদার।
জেলা যুবদলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম লিটন এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. শিপলু খান তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। এ ঘটনায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত শনিবার রাতে কুয়াকাটার একটি হোটেল “হান্ড কড়াই (বার)” ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে বহিষ্কৃত নেতাদের বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত নেতারা এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
বহিষ্কৃত নেতা ইউসুফ ঘরামী বলেন, "কেন বহিষ্কার করা হয়েছে তা আমি জানি না। আমরা কোনো অপরাধ করিনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা সংবাদ সম্মেলন করব।"
কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন জানান, "বারে হামলার অভিযোগ নিয়ে আমি সংবাদমাধ্যমে শুনেছি। তবে বিএনপির নীতি ও শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা দলের নীতিতে অটল থাকব।"
এই বহিষ্কারাদেশ দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে বলে যুবদল নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন। অভিযোগের সঠিক তদন্ত এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনার প্রয়াসে এই সিদ্ধান্ত সংগঠনের দৃঢ় অবস্থানের উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন তারা।
এ ঘটনায় যুবদলের অভ্যন্তরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও নেতৃত্বের একতা এবং দলীয় নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার বার্তা দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।