পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় শনিবার রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে নাশকতার মামলার আসামি কৃষকলীগ নেতা মনির কাজীসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর) তাদের পিরোজপুর জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৫৩ বছর বয়সী মনির হোসেন কাজী, যিনি বাশুরি গ্রামের তোফাজ্জল কাজীর ছেলে এবং স্থানীয় কৃষকলীগের সভাপতি। অন্যান্য গ্রেফতারকৃতরা হলেন— রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে শাকিব হোসেন হৃদয় (২৩), সদর ইউনিয়নের উজিয়াল খান গ্রামের উত্তম মৃধার ছেলে আবীর মৃধা (২২), দাসেরকাঠি গ্রামের আজিজ খানের ছেলে মাহফুজ খান (২২), খাইরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ রাকিব (২০) ও অনিল দেবনাথের ছেলে বাধন দেবনাথ (১৯)।
থানা পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, অভিযানে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ ছিল। কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোলায়মান জানান, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। গত দুই দিনে তারা নাশকতার মামলার আসামি সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযানের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু নাগরিক বলছেন, পুলিশের এই পদক্ষেপে অপরাধীরা আটক হওয়ার পাশাপাশি এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে। অন্যদিকে, গ্রেফতার হওয়া কৃষকলীগ নেতার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, তারা দাবি করেছেন মনির কাজী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন।
এদিকে, পুলিশের এই অভিযান সম্পর্কে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের মন্তব্য এসেছে, তারা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং এ ধরনের কার্যক্রমকে স্বাগত জানাচ্ছেন। স্থানীয় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষও আইন শৃঙ্খলার উন্নতি আশা করছেন।
এখন দেখার বিষয় হলো, পুলিশ কর্তৃপক্ষ এই অভিযান থেকে কি ধরনের ফলাফল অর্জন করতে পারে এবং গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
— পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।