ঝালকাঠির নলছিটিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তরা ঘুষ দিয়েও সরকারি সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যরা। অভিযোগটি এক ট্যাগ অফিসারের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মগড় ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের দুই মহিলা ইউপি সদস্য, আশা আক্তার ও ময়না বেগম, সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ট্যাগ অফিসার হলেন সদ্য সাবেক উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা উজ্জ্বল কৃষ্ণ বেপারী। তিনি বর্তমানে বদলি হয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে মগড় ইউনিয়নের ১৫২ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সরকারি সহায়তার জন্য আবেদন করেন। ইউএনও-এর মৌখিক নির্দেশে তালিকা যাচাইয়ের জন্য উজ্জ্বল কৃষ্ণ বেপারীকে নিয়োগ করা হয়। তিনি ইউপি সদস্যদের আশ্বাস দিয়ে প্রতি ক্ষতিগ্রস্তের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে ঘুষ নেন।
৫ অক্টোবর, গৃহ নির্মাণের জন্য সরকারি সাহায্য হিসেবে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে এক বান্ডিল টিন এবং ৫ হাজার টাকার চেক বিতরণের সময় অনেকের নাম বাদ পড়ে যায়। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
আশা আক্তার বলেন, "আমরা সাহায্যের জন্য তালিকা দিয়েছিলাম, কিন্তু কেউ সাহায্য পায়নি। আমরা ভাবছি, টাকাটা তিনি অন্যত্র দিয়েছেন।" অপর সদস্য ময়না বেগমও একই অভিযোগ করেছেন, তিনি ৫ জন ক্ষতিগ্রস্তের জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন কিন্তু তাদেরও সাহায্য মেলেনি।
অভিযুক্ত ট্যাগ অফিসার উজ্জ্বল কৃষ্ণ বেপারী অভিযোগগুলো অস্বীকার করে জানান, "আমি যাচাই-বাছাই করেছি এবং উপযুক্তদের তালিকা দিয়েছি। কেন তারা সাহায্য পাননি, সে সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না।"
এদিকে, নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "রেমালের ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে টিন ও টাকার চেক বিতরণে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে। যদি কেউ সত্যিই সাহায্য না পেয়ে থাকে, তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।"
স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ এবং বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রমের প্রতি প্রশ্ন তুলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।