সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় একের পর এক গরু চুরির ঘটনা ঘটছে, যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে উল্লাপাড়া উপজেলায় চুরি সংঘটিত হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলেছে, ফলে গরু পালনে আগ্রহ হারাচ্ছেন খামারিরা ও প্রান্তিক কৃষকেরা।
জানা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আগরপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদ প্রামানিকের দুইটি গরু চুরি হয়, যার আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকা। এ ছাড়াও একই গ্রামে একাধিক গরুর চুরির ঘটনা ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চোরেরা পিকআপ ভ্যান ও মিনিট্রাকে করে গরু চুরি করে পালিয়ে যায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
অন্যদিকে, চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এলাকা বাসী রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেছেন। তবে পাহারারত অবস্থায় একাধিক হামলার শিকার হওয়ার ফলে লোকজনের সাহস কমে গেছে। তাড়াশের দক্ষিণ মথুরাপুর গ্রামে চোরেরা ট্রাক থেকে গরু চুরি করার সময় এলাকাবাসী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে চোরেরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলে পরিস্থিতি চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
এলাকার কৃষকরা জানান, গরু চুরির কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিশেষ করে যারা স্বল্প পুঁজিতে গরু পালন করতেন, তারা বর্তমানে গরু কেনার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে কৃষির ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে, ফলে গরুর দুধ ও মাংস উৎপাদন কমে যাবে।
সরকারি উদ্যোগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। সঠিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা না হলে গরু পালনে আগ্রহী কৃষকদের সংখ্যা আরও কমে যাবে, যা দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থানীয় কৃষকরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছেন, যাতে তারা নিরাপদে গরু পালন করতে পারেন এবং গরু চুরি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
— মোঃ শামছুল হক, উল্লাপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা, সিরাজগঞ্জ। তারিখঃ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।