সাতক্ষীরার এসপির বহাল রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি-সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৪২ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরার এসপির বহাল রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকীকে স্বপদে বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) খুলনা রোড মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।


মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা নানা স্লোগান তুলে বলেন, ‘দফা এক, দাবি এক, সাতক্ষীরার এসপি বহাল থাক’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে’, ‘আমাদের সবার ঐক্যমত, সাতক্ষীরাবাসীর ঐক্যমত, মতিউর এসপি বহাল থাক’, ‘দুর্নীতিমুক্ত সাতক্ষীরা চাই, মতিউর এসপি ছাড়া বিকল্প নাই’। পরে, তাঁরা মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন।


সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দাবি করেন, এসপি মতিউর রহমান সাতক্ষীরায় যোগদানের পর পুলিশি অত্যাচার, নির্যাতন, গণগ্রেফতার ও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে এবং পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, পূর্ববর্তী পুলিশ সুপাররা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সাতক্ষীরার উন্নয়নে অবদান রাখেননি। তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সাতক্ষীরা ছিল শান্তিপূর্ণ এবং এসপি মতিউর রহমান সিদ্দিকী আন্দোলনে সহায়তা করেছেন এবং ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশি সহিংসতা বন্ধ করেছেন।


বক্তারা আরো বলেন, আন্দোলনের সময় সাতক্ষীরার আহতদের চিকিৎসা এসপি নিজেই করেছেন এবং সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করেছেন। তাঁরা জানান, এসপি মতিউর রহমান সিদ্দিকীকে অন্যত্র বদলি করতে দেওয়া হবে না।


সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকীকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা জানিয়ে দেন, তাঁদের দাবি মেনে না নিলে আগামীকাল থেকে আন্দোলন আরো তীব্র করা হবে।


উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার সমন্বয়ক নাজমুল হোসেন রনি, নাহিদ হাসান, মোহিনী তাবাসসুম, সাদ্দাম হোসেন, ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, রিফাত হোসেন, সুহাইল মাহদিন সাদি, নাজমুল হোসেন, নুহা আনসারী, রিনা পারভীন এবং সাইফা রুমি প্রমুখ।


এছাড়া, সম্প্রতি ঢাকার অপরাধ তদন্ত বিভাগের এসপি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যা নিয়ে এই আন্দোলনের সূত্রপাত।