পিরোজপুরের নাজিরপুরে চাঞ্চল্যকর জসিম খান (২৭) হত্যার দায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান সহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারদন্ড ও একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার দন্ড দিয়েছেন আদালত। আর ওই জরিমানার টাকা অনাদায়ে প্রত্যেককে ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ঘটানার সাথে জড়িত না থাকায় ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার (০১ জুলাই) পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম এ রায় প্রদান করেন।
মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিতরা হলো- উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট বুইচাকাঠী গ্রামের মৃত হাতেম আলী শেখের ছেলে দেলোয়ার শেখ (৪৮), একই গ্রামের হাশেম শেখের ছেলে আবুল শেখ (৫৮), মোজাম মল্লিকের ছেলে বাবুল মল্লিক (৪৯), আফসার আলী শেখের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক শেখ (৭১), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৮), ছেলে রাজু শেখ (৩১) এবং বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলার উমাঝুড়ি গ্রামের রসুল শেখের ছেলে জাফর শেখ (৫৮)।
আর মামলার খালাস পাওয়া আসামীরা হলেন- হাফেজ জহুরুল ইসলাম শেখ, হাজেরা বেগম, ইমারত খান, রাবেয়া বেগম, বাবু মীর, আব্দুর রব শেখ, জাফর শেখ। এ ছাড়া হত্যা মামলা চলাকালীন সময় মামলার আসামী হাতেম আলী শেখ ও রাজ্জাক মল্লিকের মৃত্যু হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২০১১ সালের ২৫ এপ্রিল সকালে মামলার বাদী রাজু খান ও তার ছোট ভাই জসিম খান বুইচাকাঠীর নিজ বাড়ি থেকে বের হলে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাই জসিমকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আসামী দেলোয়ার শেখের পৈত্রিক ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। এ সময় বাদী রাজু খানকে তারা পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে পরে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে আহত জসিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন।
মামলার সরকারী পক্ষের কৌশলী (এপিপি) জহুরুল ইসলাম বলেন, আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা কার হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৯ জনকে আসামী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর মধ্যে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ জনের খালাস ও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী কাজী ইলিয়াস হোসেন বলেন, মামলার রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।