দেবীদ্বারে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপট্টিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, উপজেলা প্রতিনিধি - দেবীদ্বার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: শনিবার ১৫ই জুন ২০২৪ ০৯:১২ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপট্টিতে

পবিত্র ঈদুল আযহা ঘনিয়ে আসলেই কামারশালার টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকার কামারপট্টি গুলো। দেবীদ্বারও তার ব্যাতিক্রম নয়। দেবীদ্বার পুরাতন বাজার পুকুর পাড়সহ উপজেলার কামারপট্রিগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছে কর্মকাররা।


সারাবছর তেমন কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে দম ফেলানোর ফুসরত থাকছেনা তাদের। কুরবানির পশু জবাই ও কাটার বিভিন্ন সামগ্রী তৈরিতে দিন-রাত হাতুড়ি পেটা  ও সান দিতেই ব্যস্ত তারা। খাওয়া- দাওয়া ভূলে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন তারা। কেউ ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরাঙা লোহার টুকরো, কেউবা দিচ্ছেন ছুরিতে শান।

 

শনিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার দেবীদ্বার পুরাতন বাজারের ৭টি কামারপট্রিতে কর্মকাররা ব্যস্ত সময় পাড় করছে। এছাড়াও  পৌরসভার পশ্চিম ফতেহাবাদে রয়েছে ৭ টি, ওয়াহেদপুর গ্রামের কর্মকার মো. খোরশেদ আলমের ১ টি , বারেরা বিল্লাল হোসেন ও গৌরাঙ্গ কর্মকারের ১ টি, পোনরা মারকাজন কর্মকারের ১ টি,  গুনাইঘর আবুল কাশেম ও মানিক কর্মকারের ১ টি । সবগুলো কামারশালায় কাজ নিয়ে ব্যস্ত সবাই।


দেবীদ্বার পুরাতন বাজার কর্মশালার কর্মকার আব্দুল কুদ্দুছ জানান, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে তিনি এ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার কর্মশালায় ৪ জন কাজ করেন প্রতিজনকে ঈদ উপলক্ষে ১ হাজার টাকা করে রোজ দিতে হয়। তবে এ সময়টা ঈদের মাসেই আসে।  খোকন কর্মকার জানান  ঈদুল আযহার মাসে তার কর্মশালার কামারীদের দৈনিক ৭ থেকে ৮শ টাকা দিতে হয়, আর বাকী মাসগুলোতে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন দিয়ে কামারীদের কাজ করান। পুরো বছরের হিসাব যেন ঈদুল আযহাতে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। তবে উপজেলার একাদিক কামারীরা জানান- কুরবানির ঈদে তারা প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করেন। বর্তমান বাজারে লোহা ও কয়লার দাম বেড়েছে সেই তুলনায় উৎপাদিত পণ্যর দাম বাড়েনি।


কয়েকজন ক্রেতা জানান, পশু জবাই ও কাটার জন্য সরঞ্জাম কিনলাম এখন ছুরি, দা ও বটির দাম অনেক বেশি হলেও ঈদ আনন্দের কাছে খুব বেশী মনে হচ্ছে না।