দেবীদ্বারে জমজমাট পশুর হাট, ছোট গরুর চাহিদা বেশী

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, উপজেলা প্রতিনিধি - দেবীদ্বার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: শনিবার ১৫ই জুন ২০২৪ ০৭:৪০ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে জমজমাট পশুর হাট, ছোট গরুর চাহিদা বেশী

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে দেবীদ্বার এবিএম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়ামে অস্থায়ী পশুর হাট। হাটে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি।


শনিবার (১৫জুন) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন পশু নিয়ে হাটে আসতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। সময়ের সাথে সাথে ক্রেতাদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার ঘুরে চিত্র ঘুরে দেখা গেছে হাটে প্রচুর পরিমাণে গরু - ছাগল আসলেও বেশী দামে বিক্রি করতে মরিয়া ছিল বিক্রেতারা। তবে দুপুর ঘনিয়ে মেঘাছন্ন আবহাওয়া দেখা দিলে বিক্রেতারা কিছুটা সহনীয় দামে ফিরে আসেন এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের আলোচনা সাপেক্ষে হাটে আশা অধিকাংশ গরু বিক্রি হয়েছে। পুরো মাঠে কানায় কানায় ভরপুর ছিলো গরু-ছাগল, ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীতে। 


বাজারে কথা হয় গরু কিনতে আসা মো. খোরশেম আলম হাজারীর সাথে তিনি বলেন, ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ১ টি গরু কিনলাম। বর্তমান বাজার মূল্যে একটু বেশি মনে হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর গ্রামের নূরুল ইসলাম বলেন মাঝারি ধরনের গরু প্রচুর বিক্রি হচ্ছে তবে দাম একটু বেশি। এদিকে স্থানীয় পুরাতন বাজারের মো. কামরুল হাসান বলেন, বাজারে চাহিদা থাকায় ছোট সাইজের গরু বেশী দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা আর বড় সাইজের গরু নিয়ে হতাশায় ভোগান্তীতে আছে বিক্রেতা।


দেবীদ্বার উপজেলার পদ্মকোট গ্রামের জয়নাল আবেদীন এগ্রো ফার্মের মালিক জানান, তিনি ৬ টি বড় গরু বাজারে এনে ১ টি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন  আর বাকী ৫ টি গুরু নিয়ে মাঠে বসে থাকতে দেখা গেছে, ঈদের মাত্র একদিন বাকি এরিমধ্যে গরুগুলো বিক্রি করতে না পারলে লস গুনতে হবে এ খামারির। বিরাল্লা গ্রামের আল আমানত এগ্রোফার্মের মো. আলম জানান ৫ টি বড় সাইজের গরু বাজারে তুলে ২ টি বিক্রি করেছেন আর বাকী ৩ টি গরু বিক্রি  করা নিয়ে তিনি চিন্তায় আছেন। 


তেয়াপুষ্করনী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ২ টি গরু ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা করে কেনা ১ বছর পালন করে তা বাজারে তুললে ক্রেতারা ২ লাখ টাকা করে কিনতে চায়। এখন তিনি তার মূল টাকাই হারাবে বলে দুশ্চিন্তায় আছেন। এছাড়াও মুরাদনগর কোম্পানীগন্জ থেকে আসা মো. হাসান ১ টি ছাগল ক্রয় করেন ২৯ হাজার ৫'শ  টাকায়। তিনি বলেন ছোট ছাগল বিক্রি করছে বেশী দামে আর বড় ছাগলের ক্রেতা কম। ঈদের একদিন হাতে থাকতে বিক্রেতারা চাচ্ছেন তারা দাম পুষিয়ে নিতে, অপরদিকে ক্রেতারা দাম একটু বেশি হলেও পছন্দমত পশু নিয়ে নিচ্ছেন।