টিকটকের কারণে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছে সমাজ, বাড়ছে অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:১০ অপরাহ্ন
টিকটকের কারণে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছে সমাজ, বাড়ছে অপরাধ

অল্প বয়সীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় টিকটক ও লাইকির মতো ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপগুলো। ভিউ বাড়াতে বিকৃত ভাষা, খারাপ অঙ্গভঙ্গি ও নির্যাতনের দৃশ্য অ্যাপগুলোতে হরহামেশাই দেখা যায়। ফলে আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছে অশ্লীলতা, সামাজিক সহিংসতা। বাড়ছে ধর্ষণ, নারী পাচার ও পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভিডিও দেখে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছে সমাজ। শিশুরা ঝুঁকছে অপরাধে।


তথ্যমতে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর হাতিয়ায় চুরির অপবাদে মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে সেই ভিডিও টিকটিকে ছেড়ে দেয় নির্যাতনকারী নিজেই। এ ছাড়া টিকটক স্টার বানানোর লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে অন্তত অর্ধশত তরুণীকে ভারতে পাচারের ঘটনাও ঘটেছে।


শুধু তাই নয়, টিকটক তরুণদের কাছে এতটাই জনপ্রিয় যে স্কুল ফাঁকি দিয়ে খোলা রাস্তায় ভিডিও ধারণের দৃশ্য এখন প্রতিদিনের। হালের কোনো গান, বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তি, অঙ্গভঙ্গির পাশাপাশি দর্শকপ্রিয়তার লোভে শিশুদের দিয়েও বানানো হচ্ছে ভিডিও।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকটক ও লাইকির প্রভাবে শিশুদের খেলাধুলার সঙ্গে কমছে সামাজিক যোগাযোগ। ভিউ বাড়ানোর নেশায় নারীদেরও হেয় করতে পিছপা হচ্ছে না তারা।


সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলছেন, এসব ভিডিও তৈরি করে তারা উপার্জন করছে। কিন্তু বিষয়টি হলো রাষ্ট্র এই উপার্জনকে সমর্থন করে কিনা। যদি না করে তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেহেতু রাষ্ট্রের কোনো ব্যবস্থা দেখছি না তাহলে ধরে নিতে হবে রাষ্ট্র এই উপার্জনকে সমর্থন করছে।টিকটক ও লাইকির কুপ্রভাব থেকে শিশু কিশোরদের সুরক্ষার জন্য ভারত ও নেপালে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। বাংলাদেশেও একইরকম ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ প্রযুক্তিবিদদের।


মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন বলছেন, অনলাইনে সবসময় আমাদের নজরদারি রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউে যাতে এ ধরনের ভিডিও বানাতে না পারে এবং কেউ যেন অপরাধে জড়াতে না পারে সেদিকে পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে।