কনে পক্ষকে ফোনে মিথ্যাচার, বরপক্ষের সংঘর্ষ! আহত-৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি , জয়পুর হাট
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৫১ অপরাহ্ন
কনে পক্ষকে ফোনে মিথ্যাচার, বরপক্ষের সংঘর্ষ! আহত-৭

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কনে পক্ষকে ফোনে মিথ্যাচার করেছে এমন সন্দেহে বরপক্ষ ও বরপক্ষের প্রতিবেশীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ২জন গুরুত্বর আহত হওয়ার পাশাপাশি মোট ৭ জন নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনাটি উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণকোলা গ্রামে ঘটেছে। 


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া আহত ব্যক্তিরা হলেন, কৃষ্ণকোলা গ্রামের পিতা: মকবর আলী জালাল শেখ (৬৫), পুত্র: ইমরান হোসেন (২৩) ও অপর পক্ষের হযরত আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম(৬৫) এবং তার ৪ পুত্র দুলু আকন্দ (৪২), আমিনুল ইসলাম (৩০), আলম (৩৫) হাসেম আলী (৩০)।


আহতদের পরিবার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জালাল শেখের ছেলে জাহাঙ্গীরের বিয়ের বিষয়ে কনে পক্ষকে ফোনে মিথ্যাচার করাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী হযরত আলীর পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৭ জন নারী-পুরুষ আহত হয়ে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে জালাল শেখ মাথায় ও দুলু আকন্দ মুখমন্ডলে গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। অন্যান্যদের মধ্যে হাসেম আলী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেলেও বাকিরা আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।


আহত জালাল শেখের জামাই বলেন,‘এর আগেও তারা বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে। এবারও কনে পক্ষকে ফোনে বলেছে ছেলেরা রহিঙ্গা। তাদের জমি নেই, ভাড়া বাড়িতে থাকে। একথা শুনে মেয়ের পরিবার বলে আমরা আপনাদের ছেলের সাথে মেয়েকে বিয়ে দিবনা। তারা কেন এমন বলেছে? এবিষয়ে জানতে চাইলে তারা মারধর শুরু করে।’


অভিযোগ অস্বীকার করে আলম আকন্দ বলেন,‘ আমি বাজার থেকে আসার সময় দেখি তারা রাস্তায় দাড়িয়ে আছে। আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলে বিয়েতে কেন ভাজি দিছিস? তখন বলি আমি এ সকল বিষয়ে কিছু জানিনা। তখন তারা আমাকে মারধর করে। আমি দৌড়ে বাড়িতে যাওয়ার পরে আমার ভাইয়েরা আমাকে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসলে  তারা বাড়িতে এসে আমাদের মারধর করে’।  


আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন,‘এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন’।