জমি দখল নিতে ৮ একর জমির ফসল নষ্ট!

নিজস্ব প্রতিবেদক
মাসুদ বাবু,নিজস্ব প্রতিনিধি হাতিবান্ধা (লালমনিরহাট)
প্রকাশিত: রবিবার ২রা মে ২০২১ ০১:৫৯ অপরাহ্ন
জমি দখল নিতে ৮ একর জমির ফসল নষ্ট!

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের আরাজি শেখ সুন্দর এলাকায় ২২ বছর আগে বে-দখল হওয়া জমি দখল নিতে গত শনিবার মধ্য রাতে ৮ একর জমির ১ হাজার মন ভুট্টা নষ্ট করার অভিযোগে উঠেছে।


এ ঘটনায় ওই জমি ও ভুট্টার মালিকানা দাবী করে আবুল কালাম আজাদ তালুকদার নামে এক ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী ঠাংঝাড়া এলাকার হাবিবুল্লা ও আঃ মান্নানসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে হাবিবুল্লা ও আঃ মান্নানের দাবী ২২ বছর আগে বে-দখল হওয়া তাদের জমি ৩টি রেকর্ড ও হাইকোর্টের রায় বলে তারা উদ্ধার করেছেন।



স্থানীয়রা জানান, সানিয়াজান ইউনিয়নের আরাজি শেখ সুন্দর মৌজায় পার্শ্ববর্তী ঠাংঝাড়া এলাকার হাবিবুল্লা ও আঃ মান্নানের ভোগ দখলে থাকার ৮ একর জমি প্রায় ২২ বছর আগে আদালতের রায় মুলে দখল করেন রফিকুল ইসলাম তালুকদারের পুত্র আবুল কালাম আজাদ তালুকদার। পরে ওই জমি নিয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক মামলা হয়।


দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ওই জমি গুলো চাষাবাদ করে আসছেন আবুল কালাম আজাদ তালুকদার। সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি রায় হাবিবুল্লা ও আঃ মান্নানের পক্ষে গেলে আবুল কালাম আজাদ তালুকদার ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। এমতবস্থায় গত শনিবার রাতে হাবিবুল্লা ও আঃ মান্নানসহ দুই শতাধিক লোকজন আবুল কালাম আজাদ তালুকদারের দখলে থাকা ওই জমি নিজ দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় জমিতে উঠতি ভুট্টা নষ্ট করে দেয়।


এতে ১ হাজার মণ ভুট্টা নষ্টসহ ওই জমিতে থাকা একটি বসত বাড়ি ভাংচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ সায়েদুর নামে একজনকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায়  আবুল কালাম আজাদ তালুকদার বাদী হয়ে হাবিবুল্লা ও আঃ মান্নানসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।



আবুল কালাম আজাদ তালুকদার জানান, তাদের পৈত্রিক সুত্র পাওয়া জমি হাবিবুল্লা ও আঃ মান্নান গংরা নিজের বলে দাবী করে আসছেন। এ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে একটি আপিলের আবেদন শুনানীধীন রয়েছে। এমতবস্থায় গত শনিবার মধ্য রাতে হাবিবুল্লা ও আঃ মান্নানসহ দুই শতাধিক লোকজন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের দখলে থাকা ওই ৮ একর জমি নিজ দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন।


এ সময় জমিতে উঠতি ভুট্টা নষ্ট করে দেয়। এতে ১ হাজার মণ ভুট্টা নষ্টসহ ওই জমিতে থাকা এক বসত বাড়ি ভাংচুর করেন। একজনকে  মারধরও করেন। তবে আবুল কালাম আজাদ তালুকদারের অভিযোগ অস্বীকার করে হাবিবুল্লা বলেন, ৪০, ৬২, ৯২ সালে তিনটি রেকর্ড আমাদের নামে পাশাপাশি হাইকোর্টের রায় আমাদের পক্ষে রয়েছে। সব কিছু মিলে ২২ বছর আগে বে-দখল হওয়া জমি উদ্ধার করেছি। আমরা কোন বসত বাড়ি ভাংচুর করি নাই।



হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, দুই পক্ষে ওই জমির মালিকানা দাবী করে আসছেন। এ নিয়ে একাধিক মামলাও হয়েছে। সব শেষ হাবিবুল্লা ও আঃ মান্নানসহ তাদের লোকজন আবুল কালাম আজাদ তালুকদারের আবাদী ভুট্টা নষ্টসহ বসত বাড়ি ভাংচুর করেছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।


#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১