ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১৫ই মার্চ ২০২১ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে জাহাঙ্গীরনগর কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বিকাশ ইসলাম (২১)। গতকাল রাত ৮টার দিকে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমান্তবর্তী বংশী নদীর উপর অবস্থিত একটি ব্রিজ থেকে বিকাশ লাফ দেয়। এর প্রায় ১৪ ঘন্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। 



সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা। তবে তার আত্নহত্যার কোন কারণ জানা যায়নি। 



এর আগে সকাল ১০ টার দিকে সাভারের নামাবাজার ও ধামরাইয়ের ফুটনগর এলাকার বংশী নদীর ব্রিজের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ধামরাই থানায় নেয়া হয়। 



নিহত বিকাশ ইসলাম (২১) কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার বাহির মাদি গ্রামের আমান উল্লাহ মন্ডলের ছেলে । তিনি জাহাঙ্গীরনগর কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। বর্তামানে পরিবারের সাথে সাভারের রেডিও কলোনি  এলাকার মোকছেদ আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। 



পুলিশ জানায়, বর্তমান বাসস্থান রেডিওকলোনি থেকে রোববার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে নিখোঁজ হয় বিকাশ। পরে আজ সকালে তাকে বিভিন্ন জাগায় খোঁজাখুঁজি করে সাভারের নামাবাজার ও ধামরাইয়ের ফুট নগর এলাকার বংশী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 



ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা জানান, রোববার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে বিকাশ নিখোঁজ হওয়ার পর বংশী নদীর উপর অবস্থিত একটি ব্রিজে বিকাশের জুতা দেখতে পায় স্বজনরা। 


এছাড়া তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেখে পুরোপুরি নিশ্চিত হয় স্বজনরা, যে ওই ব্রিজ থেকেই বিকাশ লাফ দিয়েছে। পরে সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার মরদেহ উদ্ধার করে ধামরাই থানায় হস্তান্তর করে। নিহতের বাবা-মা থানায় এসেছে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 



আত্নহত্যার আগে বিকাশের ফেসবুক আইডিতে তার দেয়া পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ 

কৃতজ্ঞতা জানাই আমার পরিবার, আত্মীস্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও আমার প্রিয় মানুষটাকে। আমার কারো প্রতি কোনো খোব, রাগ, অভিমান নাই। যা করছি বাস্তবতার সাথে তাল না মেলাতে পারার জন্যই করছি।


আমি হেরে গেছি, আমি ব্যর্থ অনেক ইচ্ছাছিল নিজে কিছু করে বাবা-মার সেবা যত্ন করার। কিন্তু বাস্তবতা আসলেই কঠিন যা অনেকে মেনে নিতে পারে আবার অনেকে পারে না আমি না পারার দলেই পরলাম।


মা পারলে মাফ করে দিয়ো।