আইন আছে''পানি শুকিয়ে মাছ ধরা যাবে না’ মর্মে শর্ত দেয়া থাকলেও তা লঙ্ঘন করে উপজেলার সব’চে বড় জলমহাল আসাও কালিকচ্ছ আকাশি বিল( কুট্টা) হাওরের পানি শুকিয়ে মাছ আহরণ করছেন লিজ গৃহীতারা।তিন ফুট পর্যন্ত পানি রেখে মাছ ধরার বিধান থাকলেও এর তোয়াক্কা করছেন না তারা।চলছে শুকনো মৌসুম।
কমছে হাওর-বাওর, নদী-নালা, খাল-বিল ও জলাশয়ের পানি। এ সময়টাতে জমে থাকা পানিই শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠে মৎস্যকূলের। এই সুযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার হাওর, খাল-বিল ও জলাশয় শুকিয়ে নির্বিচারে মাছ নিধন করা হচ্ছে।মৎস্য সংরক্ষণ আইনে পানি শুকিয়ে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
বছর বছর এভাবে মাছ নিধন করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। ফলে ব্যাহত হচ্ছে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন। মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে জলজ জীববৈচিত্র।বংশ বিস্তার করতে না পারায় বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির শতাধিক সু-স্বাদু মাছ,এ নিয়ে সম্প্রতি সরাইল উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় চুন্টা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হাবিবুর রহমান তিনি তার বক্তব্যে বলেন,এলাকায় বিভিন্ন জলমহালের ইজারাদার বাঁধ দিয়ে জলমহাল সেচ করে ফেলে।
এতে পাশের জমিওয়ালারা পানি পায় না। আসাও কুট্টা জলমহাল এ অবস্থা চলছে। এতে মাঠে ইরিগেশন পানির ব্যাপক সমস্যা হতে পারে। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংলিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন হাওর-বিল, জলাশয়, খাল ও নিচু জমি পাম্পের সাহায্যে শুকিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। ধরা হচ্ছে কাদায় লুকিয়ে থাকা মাছও। নষ্ট হচ্ছে বোয়াল, মাগুর, টেংরা, বইসা,পুঁটি,শিং,কৈ,চিতল, শোল, মেনি,
মলা,চান্দা রাণীসহ দেশীয় প্রজাতির ছোট-বড় মা মাছ ও ডিম।এতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে মাছের প্রজনন ও উৎপাদনে। মা মাছ নিধনের ফলে ভবিষ্যতে জলাশয়গুলো মাছ শূন্য হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ সময় পানিশূন্য থাকায় মরছে অন্যান্য জলজপ্রাণীও। সরাইল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব )শোভ্র সরকার বলেন, একেবারে জলাশয় শুকিয়ে শিকার করলে, মাছ থাকবে না দেশে।
প্রজননের স্বার্থে মা-মাছগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে।আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এ বিষয়ে কথা হলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল এ প্রতিনিধি'কে বলেন,জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য আহরণ আইনত দণ্ডনীয়।এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হবে। কোন ভাবেই যেন সেচ মাছ আহরণ করতে না পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।