বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালামের বিরুদ্ধে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান তরুণীকে হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেই তরুণী রুমপাও মুরং। রুমপাও মুরং সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, আবেগে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সময় নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে জড়িয়ে ধরেন। পার্বত্য নিউজ নামের একটি গণমাধ্যমে সোমবার (২৫ মার্চ) ওই সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই তরুণী বাংলা বলতে না পারায় তার বক্তব্য বাংলায় বলেন তার ভাই।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি বলছেন, জনাব আবুল কালাম এর সাথে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের একটি সম্পর্ক আছে। আমরা তাকে অসাম্প্রদায়িক ও সৎ চরিত্রবান ব্যক্তি হিসেবে জানি। তার পিতা ও তার মত সকল সম্প্রদায়ের প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বিজয়ী হওয়ার পর আমরা পাড়াবাসী তাকে আমাদের পাড়ায় সংবর্ধনা প্রদান করি। সংবর্ধনা চলাকালে আমি অন্যান্যদের ন্যায় চেয়ারম্যানকে মাল্যদান করার পর আবেগপ্রবণ হয়ে খুশিতে কান্না করে ফেলি এবং এক পর্যায়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান মহোদয় আমাকে ধরে ফেলেন। তিনি এমনটা না করলে আমি গুরুতর আহত হতাম।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয় আমার কান্না থামানোর জন্য আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আমার পরিবারের সদস্য মা-বাবা ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা দুই শতাধিক লোকজন সংবর্ধনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান মহোদয়কে আমি ও আমার ভাইয়েরা আপন বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করি এবং তিনি আমাদেরকে ছোট বোনের মত জানেন। তাহার মধ্যে আমি বা আমরা কখনো খারাপ প্রবৃত্তি দেখিনি। তিনি এই ধরনের লোক নন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমি জানতে পেরেছি উক্ত অনুষ্ঠানে আমার ও চেয়ারম্যান জনাব আবুল কালামের ছবিসহ উক্ত অনুষ্ঠানের কিছু ছবি চেয়ারম্যান মহোদয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের আইডি থেকে পোস্ট করেন। উক্ত ছবিকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের কিছু লোকজন ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র আমার ছবিগুলো কে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিকৃতভাবে মন্তব্য করেন যা আমার আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। আমি ও আমার পরিবার চেয়ারম্যান মহোদয়কে আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে জানি। আমি তার একজন ভক্ত ও বটে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।