প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৩
জাতীয় নির্বাচনের সামনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে টানাপোড়েন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী হলেও নির্বাচনী আসন ও পদ্ধতি নিয়ে দুই দলের অবস্থান ভিন্ন। বিএনপি ফেব্রুয়ারিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জোরালো অবস্থান নিয়েছে, যেখানে জামায়াত সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে।
আগের নির্বাচনগুলোতে বিএনপি ও জামায়াত একসঙ্গে অংশ নিতেও এবার ত্রয়োদশ নির্বাচনে তা হবে কিনা স্পষ্ট নয়। আসন বন্টন নিয়ে দুই দলের মধ্যে ইতোমধ্যেই অমিল দেখা দিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, জামায়াত তাদের কাছে ৩০টি আসনের দাবি তুলেছে, যা তারা মেনে নেয়নি। বিএনপি তাদের অংশ হিসেবে অনেক কম আসন প্রস্তাব করলেও তা জামায়াতকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াত শক্তিশালী না হলেও অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পিআর ও টিআর পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হলেও বিএনপি নিজস্ব অবস্থান অটল রেখেছে। তিনি বলেন, জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে।
জামায়াত ভোটে অংশ নেবে, তবে পিআর–টিআর নয়, প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোট হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ যে পদ্ধতিতে ভোট বোঝে, সেটিই হবে এবং জামায়াতও এতে অংশ নেবে। তিনি এনসিপির প্রসঙ্গে বলেন, তারা কখনো আসন চায়নি। এখন এনসিপির একমাত্র লক্ষ্য বিএনপিকে সরকার গঠন করতে বাধা দেওয়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন বণ্টন ও ভোট পদ্ধতি নিয়ে জোটসঙ্গীর মধ্যে টানাপোড়েন থাকলেও ভোটকে কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে ধরে জনগণ ও দলের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক তীব্রতা ও প্রার্থী তালিকা নিয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে চলমান আলোচনায় আসন বণ্টন এবং ভোট পদ্ধতি নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভোটের তারিখ ঘোষণার আগে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ঘটলে ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় থাকবে।