প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১৮:৩২
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডাকে আয়োজিত মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে দেশের অন্যতম ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও নতুন গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই দুই দলের উপস্থিতি রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ এবং জোট গঠনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শনিবার দুপুরে মহাসমাবেশে জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল উপস্থিত হন। প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিমসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকেও সদস্যসচিব আকতার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল মহাসমাবেশে যোগ দেন। তাদের উপস্থিতিকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও যৌথ আন্দোলনের এক নতুন বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই মহাসমাবেশের মাধ্যমে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা, গণহত্যার বিচার, এবং প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।
সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলটির নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেন। কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সকাল ১০টায় শুরু হয় প্রথম পর্ব, যেখানে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। দুপুর ২টায় শুরু হয় মূল অধিবেশন, যেখানে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
সমাবেশের পুরো সময়জুড়ে সুশৃঙ্খল পরিবেশে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে মাঠ জুড়ে তৈরি হয় শান্তিপূর্ণ অথচ দৃঢ় বার্তা। ইসলামী আন্দোলনের এই আয়োজনকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। জামায়াত ও এনসিপির সরাসরি উপস্থিতি ভবিষ্যতে বৃহত্তর ইসলামী রাজনৈতিক ঐক্য গঠনের পথ তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।