প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১৯:১৬
জাপানে বসে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তার মতে, যেভাবে একজন নিরপেক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলীয় পক্ষাবলম্বন করছেন, তা দেখে মনে হচ্ছে বিএনপি মানুষ চিনতে ভুল করেছে। শনিবার ঢাকার শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস আয়োজিত এই আলোকচিত্র ও হস্তলিপি প্রদর্শনী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্র ও জনতার পূর্ববর্তী বিজয় ছিল গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, আর এখন সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই শুরু হয়েছে।
গয়েশ্বর আরও বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান কোনো প্রচারণা চালাতেন না, বরং তার কাজই ছিল তার প্রচারণার মাধ্যম। তার প্রতিটি বক্তব্য ছিল সুসংগঠিত ও উদ্দেশ্যপ্রসূত। তিনি কখনো অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করতেন না, কথা বলতেন সংক্ষেপে এবং সরলভাবে।
তিনি বলেন, জিয়ার আবির্ভাব জাতির জন্য ছিল এক আকস্মিক প্রাপ্তি। তার সম্পর্কে যত স্মৃতি আছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। জিয়া মানে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও দেশপ্রেম। তার প্রতিটি সিদ্ধান্তের পেছনে জাতির কল্যাণ ছিল একমাত্র উদ্দেশ্য।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রসঙ্গে গয়েশ্বরের প্রশ্ন— একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরপেক্ষ ব্যক্তি কীভাবে বিদেশের মাটিতে একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে পারেন? এতে বিএনপি যেমন আহত হয়েছে, তেমনি দেশের মানুষের মধ্যেও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জাপানের ‘নিক্কেই ফোরাম: ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, নির্বাচন তাড়াহুড়া করে ডিসেম্বরেই করা হতে পারে, তবে ভালো সংস্কার দরকার হলে ছয় মাস দেরি হতে পারে। তবে তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলই এই তাড়াহুড়ার পক্ষে।
গয়েশ্বরের মতে, এই ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক পক্ষপাতের প্রমাণ দেয় এবং দেশের চলমান সংকটকে আরও ঘনীভূত করে। এ ধরনের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথে প্রতিবন্ধক।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, জনগণ জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুঝতে পারলে তারা কখনো ভয় পাবেন না। এই আদর্শই ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।