তিতুমির কলেজে দাঙ্গার আভাস পুলিশ ও সেনাবাহিনী পুরো এলাকায় অবস্থান নিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
সোলাইমান শিকদার - স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৯শে নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
তিতুমির কলেজে দাঙ্গার আভাস পুলিশ ও সেনাবাহিনী পুরো এলাকায় অবস্থান নিয়েছে

রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজ (১৯ নভেম্বর) সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আজকের কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা সোমবার (১৮ নভেম্বর) শুরু হওয়া আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ।


বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ শুরু করার কথা ছিল। গতকাল (১৮ নভেম্বর) কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালী এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে যানচলাচল বন্ধ করে দেন, যা পুরো এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন, যার ফলে কয়েকজন যাত্রী আহত হন, তাঁদের মধ্যে কিছু শিশু ছিল। বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন, পরে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন, তবে বৈঠকে কোন সমাধান আসেনি।


সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা আবারও তিতুমীর কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত ১০টা পর্যন্ত চলা ওই বিক্ষোভে তাদের দাবি ছিল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের। রাত ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে আজকের (১৯ নভেম্বর) সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেন, এবং জানান যে, তারা কলেজের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখবেন।


পুলিশ ও সেনাবাহিনী পুরো এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সকাল থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসে কয়েকশ পুলিশ সদস্য অবস্থান নেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা যেকোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেন, তবে তা কলেজের ভেতরে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। রাস্তা অবরোধের কারণে এলাকায় যানজট সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যায়।


শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন এবং তারা সরকারের কাছে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের দাবি, তিতুমীর কলেজকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হোক, যাতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পায়।


এদিকে, তিতুমীর কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বলেছেন, তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে, তবে যতদিন পর্যন্ত তাদের দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে না নেওয়া হবে, ততদিন তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।