বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এ বছর পরিবর্তনের বছর। আগামী বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন দেশ নায়ক তারেক রহমান। যারা এখনো আমাদের উপর হামলা করছেন, মামলা দিচ্ছেন তাদের তো পালানোর কোন জায়গা নেই।
তিনি বলেন, নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ও ব্যালটের মাধ্যমে ভোট ছাড়া বিএনপি হাসিনা সরকারের আমলে কোন নির্বাচনে যাবে না। আর এই দুটির কোন একটি নিয়ে টালবাহানা করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। কারণ এই সরকার ভোট চোর ও পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারা মানুষের সভা সমাবেশে বাধা দেয়, হামলা করে। তারা গনতন্ত্র হরণকারী হিসেবে বিশে^ পরিচিত, তারা কথা বলতে দেয়না। সর্বপরি বর্তমান নির্বাচন কমিশনার হাসিনার আজ্ঞাবহ। তাদের কথাবার্তায় প্রমান হয়েছে এই কমিশন দিয়ে দেশে কোন সুষ্ঠ অবাধ নির্বাচন হবে না।
শামসুজ্জামান দুদু মঙ্গলবার বিকালে ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী হাইস্কুল মাঠে বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধি, তীব্র লোডসেডিং, হামলা, মিথ্যা মামলায় হয়রানী, ভোলায় দুই ছাত্রদল নেতা হত্যা ও যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এড এম মজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনার সঞ্চালনে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপপু, বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল মালেক, এড মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আলমগীর হোসেন আলম, আব্দুল মজিদ বিশ^াস, শাহজাহান আলী ও মাহবুবুর রহমান শেখর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, এ সরকার ১০ টাকা কেজির চাল খাওয়াতে চেয়েছিল। কিন্তু চালের কেজি এখন ৮০ টাকা। ঘরে ঘরে চাকরীর কথা বলে ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন এই সরকার কতৃত্বাবাদী ও ফ্যাসিষ্ট সরকার। প্রতিবাদ করলেই তারা রক্ষিবাহিনীর আদলে হামলা করে। ভোলায় দুই ছাত্রনেতাকে হত্যা করেছে। যশোর উন্নয়নের কারিগর সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের উপর হামলা ও তার গাড়ি ভেঙ্গেছে।
তিনি বলেন, ঝিনাইদহের এই বিশাল জনসমুদ্র বানচাল করতে আওয়ামীলী নিজেরাই নিজেদের অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পথে পথে রামদা বাহিনী মোতায়েন করে সমাবেমস্থলে আসা নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এড এম মজিদ অভিযোগ করেন, আজকের সমাবেশে আসার সময় আ’লীগের রামদা বাহিনী আরাপপুর, ফুরসন্দি ও হামদহসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে বহু বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।