কাশ্মীরের নির্বাচন, শক্ত অবস্থানে জামায়াতে ইসলামী

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌম্যা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি ভারত
প্রকাশিত: বুধবার ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
কাশ্মীরের নির্বাচন, শক্ত অবস্থানে জামায়াতে ইসলামী

আজ, ২৪ সেপ্টেম্বর, জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মোট ৯০টি আসনের বিধানসভায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা গত দশ বছরে প্রথমবারের মতো হচ্ছে। তবে এই নির্বাচন ২০১৪ সালের মতো পূর্ণ রাজ্য হিসেবে নয়; কারণ ৩৭০ ধারার বাতিলের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে।


এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কাশ্মীরের জামায়াতে ইসলামী, যা কাগজে-কলমে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন হলেও তাদের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও পরিবারের সদস্যরা অন্তত ১০-১২টি আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। জামায়াতের রাজনৈতিক পুনঃপ্রবেশ স্থানীয় রাজনীতিতে একটি নতুন পরিবর্তনের সূচনা করেছে, বিশেষ করে কাশ্মীরের দুই পুরনো রাজনৈতিক দল—ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)—এর সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতা লক্ষ্যণীয়।


গত মে মাসে ভারতে সাধারণ নির্বাচনের সময় পুলওয়ামায় জামায়াতের একজন নেতা ভোট দিতে গিয়ে সারা উপত্যকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে যে সংগঠনটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ বর্জন করে এসেছে, সেই জামায়াত এবার মূল ধারার রাজনীতিতে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি উপত্যকার রাজনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে।


এদিকে, এনসি এবং কংগ্রেস জোটে ভোটে লড়ছে, আর পিডিপি এবং বিজেপি নিজেদের স্বাধীনভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে জম্মু ও কাশ্মীর ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারার বাতিলের পর প্রথমবারের মতো বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। 


নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়গুলি ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে, এবং ভোটগণনা হবে ৪ অক্টোবর। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সমর্থকদের ভোটে অংশগ্রহণ নতুন রাজনৈতিক দিশা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।


কেবল রাজনৈতিক দিকেই নয়, জামায়াতের সক্রিয় সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছে। তাদের কার্যক্রম কাশ্মীর জুড়ে বিস্তৃত, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বারবার তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।


এই নির্বাচনে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দৃশ্যপট কেমন হবে, তা এখন দেখার অপেক্ষা।