বরিশালের হিজলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন হরিনাথপুর, বড়জালিয়া এবং ধুলখোলা ইউনিয়নের আংশিক অংশে ইকোফিশ ( এ্যানহ্যান্সড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ ) নামে একটি এনজিও ২০১৮ সালে তাদের প্রকল্পের কাজ শুরু করে। তাদের প্রধান কাজের একটি হলো মৎস্যজীবী দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে আসা। কিন্তু মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ২০১৮ চলা কালে ইকোফিশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের ব্যাপারে অভিযোগ ওঠে।
পরে অভিযোগটি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিতে এলে ২০১৯ সালের মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করে উপজেলা প্রশাসন। এরপর থেকে হিজলায় ইকোফিশ কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। এ বছর মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। শুরুর আগে ইকোফিশ প্রকল্পের লোকজনের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মোবাইলে কথা হয় হিজলায় ইকোফিশের রিচার্জ এ্যাসোসিয়েট মোঃ জামাল এর সাথে তিনি জানান, হিজলার তিনটি ইউনিয়নে তাদের কার্যক্রম চলমান। ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে তার যোগাযোগ রেখেই এই কার্যক্রম চলছে। তবে হরিনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন ভিন্ন কথা।
তিনি জানান, বর্তমানে ইকোফিশের দায়িত্বে কে আছে তার জানা নেই। ২০১৮ সালে ইকোফিশের কার্যক্রম ছিলো কিন্তু ঐ সময় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান কালে তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী বছরে নির্বাহী অফিসার মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। চেয়ারম্যান আরো জানান উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে ইকোফিশের ব্যাপারে কথা হলে , তিনি কমিটির সামনে ইকোফিশের বিগত বছরের অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র করিবাজ জানান, ইকোফিশ একটি বেসরকারি প্রকল্প। তাদের ব্যাপারে আরেকটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখি যদি তাদের অনিয়ম থেকে থাকে, তাহলে পরবর্তী নির্দেশ জানানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।