দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানির নামে পত্রিকা, লিফলেট ও অনলাইনে লোভনীয় বেতনে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশী যুবক-যুবতীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে প্রতারক চক্রটি। প্রতারণার অভিযোগে ৭ নারীসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১’র একটি দল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জামাল হোসেন ইমন ওরফে মনিরুজ্জামান, খালেদ নুর, মো. ইসমাইল হোসেন, নাজমুল হাসান, হাসান মুনমুন, মো. জাবেদ হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, মো. ইউসুফ, খোরশেদ আলম, ফাতেমাতুজ জোহরা, মোছা. রাবেয়া আক্তার বিথি, জ্যোতি আক্তার, মোছা. অনামিকা আক্তার, মোছা. তানিয়া সুলতানা, অন্তরা খাতুন, সানজিদা আক্তার, আলমগীর, মীর সানবিরুল আলম, মো. শামীম আহম্মেদ ও মো. মাহিম। তাদের কাছ থেকে ১৫১টি চাকরির আবেদনপত্র, গাজী ইন্টারন্যাশনাল ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সিল, রিক্রুটিং অফিসারের সিল, ভিশন বিজনেস সেন্টারের সিল, ৫টি আইডি কার্ড, ৫টি ল্যাপটপ, বিপুল পরিমাণ ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের রশিদ, চাকরিপ্রার্থীদের নিবন্ধন ফরম ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকেলে র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানির নামে পত্রিকা, লিফলেট ও অনলাইনে লোভনীয় বেতনে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশী যুবক-যুবতীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। তাছাড়া চাকরির আবেদন ফরম, প্রশিক্ষণ ও ভালো পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রচুর নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা কাউসার আহমেদ চৌধুরী বিজয়। তার নেতৃত্বে এই সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র দেশের নামীদামী কোম্পানির নামের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। পরে অভিজাত এলাকায় ফ্লোর ভাড়া নিয়ে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে সু-সজ্জিত অফিস খোলে। পত্রিকা, লিফলেট ও অনলাইনে লোভনীয় বেতনে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে বেকার যুবক যুবতীদের আকৃষ্ট করে। এদের মাধ্যমে প্রতারিত বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিষ্ঠান দু’টির প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারে র্যাব।
