বোরহানউদ্দিনে সাংবাদিক সংগঠনের পুলিশের সংবাদ বয়কটের ঘোষণা

বুধবার দুপুরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা এ ঘোষণা দেন । 

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্থান সংবাদ মাধ্যমকে বিবেচনা করা হয়। দেশের দুর্যোগ ক্রান্তিকাল এবং উন্নয়নে সকল বিষয়ে সাংবাদিকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। মহাদুর্যোগ মুহুর্তে সারাদেশ করোনা প্রভাবে লক ডাউনে। সেক্ষেত্রে একজন অসহায় নারী পুলিশের ভেরিফিকেশনে ৫ হাজার টাকা দাবী করা খুবই দু:খ জনক। অভিযোগের ভিত্তিতে এই এস.আই শফিকুল ইসলামের কাছে সাংবাদিক আবদুল মালেক জানতে চাইলে তার সাথে অসদাচরণ করা সমুচীন হয়নি। একজন উপ-পরিদর্শক তথা প্রশাসনের কোন ব্যক্তি সংবাদকর্মীদের সাথে এমন আচরণ করতে পারেন না। আমরা বোরহানউদ্দিনের সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ। তাই বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের সকল ধরনের ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

সংবাদকর্মীর সাথে অসদ আচরণের ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর হতে কঠোর কর্মসূচী নিতে বাধ্য হবো। আমরা পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে এ দাবী করছি। বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা রাখেন বোরহানউদ্দিন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দিন ইসলাম রুবেল, বোরহানউদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোবাশ্বির হাসান শিপন, বোরহানউদ্দিন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, বোরহানউদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নীল রতন দে , বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেস ক্লাব সহ-সভাপতি এমএ অন্তর হাওলাদার, কাজী মো. বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ বাদশা, মো. নাছির পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবুল পালোয়ান, দপ্তর সম্পাদক মো. ফোরকান, বোরহানউদ্দিন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মো. নুরনবী প্রমূখ।

উল্লেখ্য, উপজেলার বড়মানিকা ১ নং ওয়ার্ডের অসহায় রোশনারা কাছে ৫ হাজার টাকা দাবী করেন বোরহানউদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। শফিকুল ইসলামের কাছে ওই ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি আবদুল মালেকের সাথে অসদাচরণ করেন। এ ঘটনাটি জাতীয়, আঞ্চলিক দৈনিক সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয় এবং ভোলা জেলা ও উপজেলার সাংবাকিরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় ঝড় তোলেন।