গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ আনুমানিক ১৯০০ ঘটিকায় কাঠের ট্রলারে করে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া গমনের উদ্দেশ্যে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন মিঠাপানির ছড়া নামক এলাকা থেকে ছোট ছোট বোটে করে মোট ১৩৮ জন রোহিঙ্গা সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া পাড়ি দেয়। পরবর্তীতে দালাল তাদের সবাইকে একটি ট্রলালে তুলে নেয়।
পরবর্তীতে ভোর রাত ০৪০০ ঘটিকার সময় সেন্টমার্টিন্স হতে ০৫ কিলোমিটার পশ্চিমে সমুদ্রের পানিতে নিমজ্জিত পাথরের সাথে ধাক্কা লেগে ট্রলারের তলা ফেটে গিয়ে পানি প্রবেশ করে ট্রলারটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশান সেন্টমার্টিন্স ও টেকনাফ হতে দুটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এসময় সাগরে ভাসমান অবস্থায় ৭১ জনকে জীবিত এবং ১৫ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়। দুপুর নাগাদ ডুবন্ত ট্রলারটিকে উদ্ধার করে সেন্টমার্টিনে নিয়ে আসা হয়।
উদ্ধারকৃত জীবিত রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। উদ্ধারকৃত মৃত ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন নারী ও ০৩ জন শিশু) রয়েছে। মৃতদের যথাযথ নিয়ামানুযায়ী টেকনাফে তাদের স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণের নিমিত্তে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ মনসুর আলী, শ্যামল বাংলা ও ছোট বড় বেশ কয়েকটি বোট নিয়োজিত রয়েছে। প্রাপ্ত গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ডুবে যাওয়া ট্রলারের সবাই রোহিঙ্গা এবং তারা নুর আলম ও সৈয়দ আলম নামের দুই জন দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল এবং তার উক্ত ট্রলারে অবস্থান নিয়েছিল।
পরবর্তীতে ট্রলারে থাকা দুজন দালাকে গ্রেফতার করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার হামিদুল ইসলাম বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারের বাকী ৫২ রোহিঙ্গাদের উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর কয়েকটি জাহাজ উক্ত উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত আছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।