নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের সবচেয়ে নগণ্য কর্মী। শেখ হাসিনা আমার মা। তবে আমি জানি, শেখ হাসিনার জন্য যতটুকু ঝুঁকি আমি নিতে পারবো, তারচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিতে পারবে তার কর্মীরা।’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের শোক র্যালিতে তিনি একথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, এই সাজানো সংসারে কোনও অঘটন ঘটাবে, যদি কেউ আমার নেতাকর্মীর নামে গেম খেলার চেষ্টা করে, কেউ যদি শেখ হাসিনার কর্মীদের গায়ে ফুলের আচড়ও দেওয়ার চেষ্টা করে, নারায়ণগঞ্জ শহর দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে; জাতির পিতার কর্মীদের নিয়ে এই শপথ করলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। শুধু জাতির পিতাকে নয়, তার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। আল্লাহের রহমতে বেঁচে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। আর বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেয়েছি, বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘চারদিকে একটা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। জনগণে যাদের আস্থা নেই, তাদের ষড়যন্ত্র ছাড়া কোনও উপায় নেই। যারা সরকারকে আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করছে, যারা শেখ হাসিনাকে টার্গেট করছে, তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী খন্দকার মোশতাকের বংশধর। আজ তারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের চরিত্র হনন করছে; নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে।’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, যারা আওয়ামী লীগের ভালো চায়নি, তারাই এখন বড় বড় কথা বলছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক যারা চায়নি, তারাই আওয়ামী লীগের বড় নেতা হয়ে যাচ্ছে। আর যারা ত্যাগী তারা পেছনে চলে যাচ্ছে।’ শোক র্যালিতে আরও ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক কালিপদ মল্লিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হোসেন আলম মেম্বার, নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, রুহুল আমিন মোল্লা, আরিফুল হক হাসান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, যুবলীগ নেতা মাহবুব আলম প্রমুখ।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।