
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০১৯, ২২:৩৩

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গভীর রাতে মোবাইল করে ডেকে নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাত ০২টার দিকে উপজেলার মহিপুর থানার নজিবপুর গ্রামের বালুরমাঠে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ধর্ষিতার বাবা মো. জামাল বাদী হয়ে ধর্ষক রাকিবুল (২০) সহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
মামলার বিবরনী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কমরপুর গ্রামের শাহ আলম চৌকিদারের ছেলে রাকিবুল ওই শিক্ষার্থীর দাদীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার সাথে কথা বলত। এরই মধ্যে শিক্ষার্থী ও রাকিবুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার গভীর রাতে শিক্ষার্থীকে ফোন দিয়ে ঘর থেকে বাইরে ডেকে নিয়ে যায় রাকিবুল। পরে জোরপূর্বক শিক্ষার্থীকে নজিরপুর গ্রামের বালুরমাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে রাকিবুল। মামলার অপর দুই আসামী বাবু (২২)ও ওবায়দুল (২৪) ধর্ষণে সহযোগিতা করে। এছাড়া ধর্ষণের পর ধর্ষিতাকে ওই রাতে বাড়িতে নিয়ে রাখে ওবায়দুল। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১১ টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ির যাবার উদ্যেশে অটো বাইকে তুলে দেয়া হয়। এসময় ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দেয় ওবায়দুল।
ধর্ষিতার বাবা জামাল বলেন, বুধবার রাত থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়ে বাড়ি ফিরে এসে তার দাদীসহ পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে রাকিবুল তাকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। পরে ওই দিন রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিউটি ও রানীর সহযোগিতায় মহিপুর থানায় মামলা করেছি। মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষকসহ অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব