পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সড়কের বেহাল দশার প্রতিবাদ জানিয়ে কর্দমাক্ত রাস্তায় ধানের বীজ রোপন করেছেন স্কুল মাদ্রসার শিক্ষার্থীরা। এছাড়া চলাচলের কোন উপায় না পেয়ে সড়কের উপরেই তৈরী করেছেন বাশের সাঁকো। রাস্তার এমন বেহাল দশায় দুভোর্গে রয়েছেন স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পর্যটকসহ ওই এলাকার পাঁচ গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ। স্থানীয়রা জানায়, কুয়াকাটা পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডের আংশিক পাঞ্জুপাড়া গ্রামের মধ্যবর্তী ও লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লিয়াবাদ গ্রামের সড়ক এটি। শেষ ১৯৮৭ সালে এ সড়কটি কেয়ারের অর্থায়নে মাটির কাজ করে। এরপর দীর্ঘ দিনেও এ সড়কটি কোন সংস্কার করা হয়নি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা সূর্যাদয় দেখতে এই সড়ক দিয়ে গঙ্গামতি যাতায়াত করে। এছাড়া একটি কলেজ, একটি প্রাইমারি স্কুল, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রসার শিক্ষার্থীদের চলাচল এবং পাঁচ গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। অবাধে ৬ চাকার ট্রলি চলাচল ও প্রয়োজনীয় তদারকি না থাকায় সড়কটি মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সড়কটির প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে হাটু সমান কর্দমাক্ত হয়ে আছে। দীর্ঘ দিন কোন ধরনের সংস্কার না হওয়ায় চাষ করা কৃষি জমিতে পরিনত হয়েছে রাস্তাটি। এছাড়া এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীরা প্রায়ই ছোট দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। তাই গ্রামবাসীরা চলাচলের জন্য রাস্তার উপর বাশঁ দিয়ে সাকোঁ তৈরী করেছে। শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ ওই সাকোঁ পার হয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করে। আর জন গুরুত্বপূর্ন এ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মঙ্গলবার কয়েকজন মাদ্রসা শিক্ষার্থী রাস্তায় ধানের বীজ বপন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সড়কটি মেরামত কিংবা নতুন করে নির্মান করলে শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমবে বলে মনে করেছেন স্থানীয়রা।
মুসুলিল্লায়াবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন জানান, আমাদের বছরের বেশীরভাগ সমটাই এই রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মুসুল্লিয়াবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতী জানায়, সাঁকো পার হয়ে যাওয়ার সময় বই খাতা নিয়ে কাঁদার মধ্যে পড়ে গেছে, তাই আজ আর স্কুলে যেতে পারিনি। পাঞ্জুপাড়া গ্রামের প্রবীন বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব হাবিব হাওলাদার জানান, অনেক বছর আগে এ রাস্তা করা হয়েছিল। এখন আর দুর্ভোগের কোন শেষ নেই। মুসুল্লিয়াবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রসার ইংরেজী প্রভাষক সাইদুর রহমাস সাইদ জানান, ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীরা প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়।
এছাড়া রাস্তা খারাপ হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার একটু কম। লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনসার উদ্দীন মোল্লা জানান, সড়কটি বর্তমানে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। মাননীয় সংসদ সদস্যের বরাবরে এ সড়ক নির্মানের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মান্নান জানান, এসড়কটি পাকা করনের জন্য প্রকল্প দেয়া হয়েছে। শীগ্রই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।