দুদক গেটে সাংবাদিকদের অবস্থান, বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৭শে জুন ২০১৯ ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
দুদক গেটে সাংবাদিকদের অবস্থান, বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি

দুই সাংবাদিককে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া আপত্তিকর চিঠির প্রতিবাদে দুদক কার্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা। অবিলম্বে ওই চিঠি প্রত্যাহার না করলে সব সাংবাদিক সংগঠন এক হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেন  বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও অন্যান্য সংঠনের সাংবাদিকরা।

এ সময় ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, যারা বেশি অনিয়ম করে তাদের মাথা ঠিক থাকে না। দুদক কর্মকর্তাদের সেই অবস্থা হয়েছে। তারা চিঠি দেয়ার ভদ্রতা জানে না। এইভাবে চিঠি দেয়ার উদ্দেশ্য কী, দুদক চেয়ারম্যানকে তার জবাব দিতে হবে। চেয়ারম্যানকে বলতে হবে এই তদন্তকারী কর্মকর্তা কী উদ্দেশ্যে এ ধরনের চিঠি ইস্যু করেছে। আমাদের দাবি, এই কর্মকর্তাকে দুদক থেকে সরিয়ে দিতে হবে এবং অবিলম্বে এই চিঠি প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচির প্রস্তুতি নেব।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, আজকে দুদকের যে সুনাম তা একমাত্র গণমাধ্যমের কারণে। এক সময় যখন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ছিল, তখন এই প্রতিষ্ঠানটি পাপাচারে পূর্ণ ছিল। পাপ মোচন করতে তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এরপর একমাত্র আমাদের পজিটিভ সাংবাদিকতার কারণেই দুদকের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। কিন্তু এই চিঠি আজকে আবারো প্রমাণ করলো যে, কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। এই চিঠি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ডিআরইউ'র সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, দুদক তাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যারা দুর্নীতি করে, নাকি যারা দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করে? সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক ও আপত্তিকর এই চিঠি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে এসে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, এই চিঠিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ফলে এই চিঠির কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। এটা নিয়ে আপনাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সম্প্রতি পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা বাছিরের ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের জেরে ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার এবং প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ইমরান হোসেন সুমনকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশ দেয়া হয়। এছাড়া নোটিশে দীপু সারওয়ারকে কার্যালয়ে না গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব