পাঁচ বছরে দেড় কোটি লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৭শে জুন ২০১৯ ০২:৩০ অপরাহ্ন
পাঁচ বছরে দেড় কোটি লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য

দক্ষতার অভাবে উচ্চশিক্ষিতরা বেকার হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। তাই দক্ষতা বৃদ্ধিতে সরকার নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জব ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের যুবকদের দক্ষতা তৈরিতে গত পাঁচ বছরে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এরমধ্যে আইসিটি প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা ও স্কুল-কলেজে উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে দেশ-বিদেশে দেড় কোটি কর্মসংস্থান তৈরির চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রতিবছর ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে। মন্ত্রী বলেন, দেশে এখনো ৪০ শতাংশ বেকার, এ কারণে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সু সংবাদ হচ্ছে, আমরা ডেমোগ্রাফিক সময় পার করছি। আমরা যদি অদক্ষদের দক্ষতায় রূপান্তর করতে পারি, তবে তারাই আমাদের জন্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার আইসিটি খাতে প্রতি বছর দুই লাখ মানুষের অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। তাদের অনেকে দেশের বাইরেও ভালো চাকরির সুযোগ পাচ্ছে। অনেকে আবার নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের চাকরির সুযোগ দিচ্ছে। উদ্যোক্তাদের সরকারিভাবে ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, কোয়ালিটি শিক্ষা নিশ্চিত করতে ভালো মানের শিক্ষক প্রয়োজন। সেই শিক্ষকরাই মানসম্মত শিক্ষা ও মানসম্মত কর্মসংস্থান জোগানো বড় ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জব ফেয়ারে মোট ১০৩ টি কোম্পানি যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিতে অংশগ্রহণ করছেন। এসব কোম্পানির পক্ষ থেকে চাকরি প্রত্যাশীদের সিভি নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কোনো কোনো কোম্পানি প্রাথমিকভাবে প্রার্থী যাচাই-বাছাই কাজও সম্পূর্ণ করছেন বলে জানা গেছে। জব ফেয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চাং, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক দিলারা আফরোজ খান রুপা, রেজিস্টার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) মো. ফয়জুল ইসলাম, এনবিআর জবস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব-এ-ইলাহী চৌধুরী প্রমুখ।

ইনিউজ ৭১/এম.আর