গোপালগঞ্জে সাড়ে ৪ বছরের এক শিশুকে সুন্নাতে খাতনা (মুসলমানি) করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলেছেন এক চিকিৎসক। তামিম মাহমুদ নামের ওই শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের ডাঃ হাফেজ মাহফুজুর রহমানের মালিকানাধীন জিম ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিশু শহরের আরামবাগের এলাকার তারেক মাহমুদের ছেলে।
শিশুটির বাবা তারেক মাহমুদ জানিয়েছেন, সকাল ১০টায় তার শিশুকে সুন্নাতে খাতনা দেয়ার জন্য শহরের জিম ক্লিনিকে আনা হয়। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ওই ক্লিনিকের মালিক ডা. হাফেজ মাহফুজুর রহমান সুন্নাতে খাতনা দেয়ার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেন। সুন্নাতে খাতনা দেয়ার সময় ওই চিকিৎসক আমার ছেলের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিক ব্যবস্থা দিয়ে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেছেন।
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক(সার্জারী) অনুপ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ সংরক্ষণ করে ওই শিশুকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য তার পরিবারকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ে মাইক্রো সার্জারি করাতে পারলে এটি ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক ডাঃ হাফেজ মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, এটি একটা দুর্ঘটনা। শিশুকে সুন্নাতে খাতনা দেয়ার সময় সে হাত-পা ছুড়াছুড়ি করার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।