
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯, ১৬:৩

কলেজছাত্র লোটন তালুকদারের চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকার দরকার। এরই মধ্যে জমি-জমা বিক্রি, ধার-দেনা করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তার বাবা-মা। চাকরি হারিয়েছেন লোটনের বড় ভাই পলাশ তালুকদার। এখন একেবারেই অসহায় পরিবারটি।
মো. বজলুর রহমান তালুকদার বলেন, চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ছোট লোটন পড়াশোনায় সবসময়ই ভালো। এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করে সরকারি গৌরনদী কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ডিগ্রিতে (বিএসএস) ভর্তি হয়। গত ৮ মার্চ আগৈলঝাড়া বাইপাস সড়কে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সে। তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে ঢাকার নিউরো সাইন্স মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু, সব হাসপাতালই তাকে নিয়ে হতাশ হওয়ায় সবশেষ মহাখালি মেট্রোপলিটন মেডিক্যাল সেন্টাটে ভর্তি করানো হয় লোটনকে।
লোটনের বাবা বলেন, ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে জায়গা-জমি বিক্রি করেছি, ধার-দেনা করতে হয়েছে প্রচুর। অনেকে সাহায্যও করেছেন। কেউ পাঁচ টাকা দিলে তা যেমন সাদরে গ্রহণ করেছি, তেমনি বেশি টাকাও পেয়েছি। তিনি বলেন, প্রায় দেড় মাস আইসিইউতে থাকার পর লোটন এখন কিছুটা সুস্থ। পেছনের স্মৃতি মনে আছে তার, কিন্তু এখনো ভালোভাবে হাঁটাচলা করতে পারে না।
জানা গেছে, দুর্ঘটনায় আহত লোটনের মাথার খুলির একটি অংশ কেটে অপারেশন করতে হয়েছে, যা সাভারের একটি সংরক্ষণাগারে জমা রেখেছেন চিকিৎসক অধ্যাপক আফজাল হোসেন। এখন খুলির ওই অংশটি পুনঃস্থাপন করতে হবে। লোটনের বাবা বলেন, ছেলের চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকার দরকার। কিন্তু, আমি তো নিঃস্ব। কী করবো বুঝতে পারছি না, তাই ছেলের জীবন বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চাই।

সাহায্য পাঠানোর জন্য: