শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা এলজিইডি অফিসে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই প্রকৌশলী বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল মাদবরসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয় ও ডামুড্যা থানা সূত্রে জানা যায়,সকালে উপজেলা এলজিইডি অফিসে বসে সরকারি কাজ করতে ছিলেন প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম। বেলা ১১টার দিকে হটাৎ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া সেলাই মেশিন সরবারাহকৃত এডিবি বিলের ফাইল নিয়ে ওই কর্মকর্তার কক্ষে হাজির উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল মাদবর ও তার বড় ভাই জুলহাস মাদবর, ইমরান'সহ আরো কয়েকজন।
এ সময় ওই প্রকৌশলীকে বিলের ফাইলে সাক্ষর করে দিতে হুমকি দেন ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল মাদবর ও ইমরান। কিন্তু ওই কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বিলের ফাইলে স্বাক্ষর না করে সকল কাগজপত্র ঠিক করে আনতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ অন্যরা ওই প্রকৌশলীকে মারধর করেন। পরে অফিসে থাকা সহকর্মীরা ওই প্রকৌশলীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান।
ভুক্তভোগী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার কক্ষে ঢুকে রুবেল মাদবর ও তার ভাই জুলহাস মাদবর সহ আরো কয়েকজন বিলের কাগজে স্বাক্ষর করে দিতে বলেন। আমি কাগজপত্র ঠিক করে আনতে বলায় তারা আমাকে মারধর করেছে। আমি মামলা করেছি। এদের বিচার চাই। ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল মাদবরের মোবাইলে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি ঢাকা যাচ্ছি। ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে মারধরের একটি অভিযোগে মামলা হয়েছে।আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।