৯৬০ কোটি টাকা ফেরত দিয়ে বিরল ঘটনার দৃষ্টান্ত স্থাপন!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২১শে মে ২০১৯ ০১:০০ অপরাহ্ন
৯৬০ কোটি টাকা ফেরত দিয়ে বিরল ঘটনার দৃষ্টান্ত স্থাপন!

৩ সেতু তৈরির পর উল্টো ৯৬০ কোটি টাকা ফেরত দিয়ে জাপানিরা বিরল ঘটনার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো, এ ধরনের একটি সংবাদ ভাইরাল হয়। আসলেই এ তথ্যের বা এ সংবাদের ভিত্তি কতটুকু, সে ব্যপারে বানসুরি এম ইউসুফ নামে এক ফেসবুক সিলিব্রিটি ঘটনার অন্তরালের খবর বা আসল ও প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন,তার একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে, আমাদের সময়.কমের পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
কাজ শেষে কন্ট্রাক্টরের বেঁচে যাওয়া টাকাই তার লভ্যাংশ, সেটা পরিমাণে যত বড় হোক বা ছোট হোক। সেই লভ্যাংশ কোন কন্ট্রাক্টর বা নির্মাণ কোম্পানী ফেরত দেবে, এটা অবিশ্বাস্য। 

সম্প্রতি এ ধরণের একটি খবর চাউর হয়েছে মার্কেটে যে, জাপানীজ নির্মাণ কোম্পানীগুলো ২য় কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী ব্রীজ নির্মান শেষে বেঁচে যাওয়া ৭০০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছেন! কাহিনী একটু বুঝার চেষ্টা করি। আমি যতদূর জানি, এই ব্রীজগুলো জাইকার অর্থায়নে হয়েছিলো। লোন নেগোসিয়েশনের সময় আমি যোগাযোগে কাজ করছিলাম। জাইকার সাথে তখন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার লোন এগ্রিমেন্ট হয়েছিলো। এগ্রিমেন্টের পর জাইকা উক্ত অর্থ ছাড় করে তাদের পছন্দমত ব্যাংকে রাখে, যেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী কন্ট্রাক্টরের বিল দেয়া হয়। তো, সেইবার টেন্ডার আহবানের পর একটিমাত্র দরপত্র পড়ে। জাপানীজ অনেকগুলো কোম্পানী যৌথভাবে একটি দর দিয়েছিলো। একটি দরপত্র পড়ায়, যেহেতু তুলনা করার সুযোগ নেই, দরপত্র বাছাই কমিটি পুনরায় দরপত্র আহবান করবে কিনা, চিন্তা করছিলো।

কিন্তু জাইকা বললো যে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী এতে কোন সমস্যা নেই। একটি দর পড়লে এবং তা বাজার দরের সাথে রেসপোন্সিভ হলে, সেটি নেয়া যায়। তখন সরকারের পক্ষে পুনঃ টেন্ডারে না গিয়ে দরদাতা যৌথ কোম্পানীর সাথে নেগোসিয়েট করে প্রদত্ত দরের চেয়ে ৭/৮’শ কোটি টাকা কমিয়ে আনা হয়। স্বাভাবিক ভাবে কাজ শেষে জাইকার লোন একাউন্টে উক্ত পরিমাণ টাকা থেকে যায়। এই বেঁচে যাওয়া অর্থ জাইকা লোন এগ্রিমেন্ট রি-এডজাস্ট করে ফেরত নিয়ে নিতে পারে। আবার চাইলে, এগ্রিমেন্ট ঠিক রেখে এই অর্থ দিয়ে প্রজেক্টে নতুন কোন কম্পোনেন্ট সংযোজন করে ব্যয় করতে পারে।

এই হইলো, আসল কাহিনী। তবে জাপানীজ কোম্পানী ধন্যবাদ অবশ্যই পাবে। আর তা হলো, প্রথমতঃ হলি আর্টজানের কারণে কাজ বন্ধ থাকার পরেও তারা নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ করেছে। দ্বিতীয়তঃ অন্য কোম্পানীর মত ডিপিপি রিভাইজ করে খরচ না বাড়িয়ে তারা নেগোসিয়েটেড কম মুল্যেই কাজটি শেষ করেছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আ