হত্যাচেষ্টাকারী, মাদক মামলার আসামি, রাজাকারের ছেলে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৪ই মে ২০১৯ ১২:৫৩ অপরাহ্ন
হত্যাচেষ্টাকারী, মাদক মামলার আসামি, রাজাকারের ছেলে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে!

সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঘটিত হল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি। আজ মঙ্গলবার ( ১৩ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হওয়ার পর পরই শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। অনেকে দাবি করেন পূর্নাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া অনেকে বিবাহিত। কমিটি ঘোষনার ২ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ করেন, সাবেক কমিটির উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এবং নতুন কমিটিতে উপ-কর্মসূচী ও পরিকল্পনা পদ পাওয়া আল মামুন। কেন্দ্রীয় কমিটির ২ নম্বর সহসভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভীর, সহসভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ ও সোহেল রানার বয়স ৩০ বছরের বেশি। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের সদস্য পদই থাকার কথা নয়।

দেখা যায়, সহ-সভাপতি আরেফিন সিদ্দিকী সুজনকে এক সময় ইয়াবা সেবন ও মাদক রাখার অভিযোগে মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আরেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক ও ইয়াবা সেবন এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মল চত্বরে পয়লা বৈশাখের কনসার্টে আগুন দেওয়ার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন বরকত হোসেন হাওলাদার। শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুতের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে।

আরেক সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের পরিবার জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল গোপালগঞ্জে একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান তুষার এক সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও পয়লা বৈশাখের কনসার্টে আগুন দেওয়ার অভিযোগ আছে। সহ-সভাপতি এস.এম তৌফিকুর হাসান সাগররে বাবা ছিলেন রাজাকার।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করছে অনেকে। ছাত্রলীগের ২ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়া প্রদীপ চৌধুরী ২০১৪-১৫ সেশনে পরীক্ষায় নকলের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছিলেন। দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব সাবেক চাকরিজীবী।

ইনিউজ ৭১/এম.আর